যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান ঠেকাতে সামরিক মহড়া শুরু ভেনেজুয়েলার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সামরিক উপস্থিতি বাড়ার প্রেক্ষাপটে উপকূলরক্ষায় বড় পরিসরের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ভেনেজুয়েলা। বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন অঞ্চলটিতে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার ঠিক একদিন পর এই মহড়া শুরু হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো শনিবার এক ঘোষণায় বলেন, আমরা গত ৭২ ঘণ্টা ধরে উপকূলীয় প্রতিরক্ষা মহড়া পরিচালনা করছি। আর শুধু বৃহৎ সামরিক হুমকি থেকে নয়, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির গোপন অভিযানের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এই মহড়া শুরু হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন বাহিনী তথাকথিত মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেখানে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর। তিনি বলেন, ‘আমি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ-কে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি এবং প্রয়োজনে স্থল অভিযানের কথাও বিবেচনা করছি।’
মার্কিন বাহিনী ২ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় বোমা বর্ষণ করেছে, যার মধ্যে আটটি হামলাই হয়েছে ক্যারিবীয় সাগরে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নিজেই একটি মাদকচক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে তা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন মাদুরো।
আরও পড়ুনরাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা গেছে, নয়টি উপকূলীয় রাজ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মাদুরোর বেসামরিক মিলিশিয়ার এক সদস্যকে রাশিয়ান তৈরি ইগলা-এস অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র হাতে টহল দিতে দেখা গেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাদ্রিনো শুক্রবার বলেন, সিআইএ শুধু ভেনেজুয়েলাতেই নয়, বিশ্বজুড়েই সক্রিয়। তারা দেশের যেকোনো অংশ থেকে অসংখ্য গোপন ইউনিট মোতায়েন করতে পারে, কিন্তু তাদের প্রতিটি চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
গত আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আটটি মার্কিন নৌবাহিনীর নৌযান, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করেছে, যাকে তারা ‘অ্যান্টি-ড্রাগ অপারেশন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে কারাকাসের অভিযোগ, এই অভিযানের আড়ালে রয়েছে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা।
মন্তব্য করুন










