ভিডিও শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২

গাইবান্ধার এসপি-ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা

সেই এসআইকে কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার

সংগৃহিত,সেই এসআইকে কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার এসপি-ওসির বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সেই এসআইকে জয়পুরহাটের কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসআইয়ের স্ত্রী কাজলী খাতুনের অভিযোগ, স্বামীর মুঠোফোন ও ল্যাপটপ আটকে রাখা এবং তার স্বামীকে মানসিক হয়রানি করায় গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

এরপর এসআই মনিরুজ্জামানকে জয়পুরহাটের কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার প্রত্যাহারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন। 

থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসআই মনিরুজ্জামানের দাবি, তার স্ত্রী আদালতে এসপি-ওসিসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা করার কারণে তাকে কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পুলিশ লাইনসে যোগদান করেছেন। স্ত্রীর করা মামলায় তাকে অযাচিত হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।’

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘অন্য কোনো কারনে নয় বরং শাসনিক কারণে এসআই মনিরুজ্জামানকে কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। হয়রানির প্রশ্নই আসেনা।’

কালাই থানার এসআইয়ের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আসামির নিকট আত্মীয় তারেকুজ্জামান পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন। এরপর তার স্বামীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এসব কারনে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার চলতি বছরের ২৫ মার্চ তার স্বামী মনিরুজ্জামানকে তার কার্যালয়ে ডাকেন।

আরও পড়ুন

তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্র তার কাছ থেকে ব্যবহার করা মোবাইল ফোন, ব্যাগে থাকা ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। পরে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ যাচাই-বাছাই শেষে সদর থানার ওসির কাছে রাখা হয়। এ বিষয়টি বাইরে প্রকাশ করলে তার চাকরির ক্ষতি হবে বলেও ভয় দেখানো হয় তার স্বামীকে। একপর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিষয়টি তিনি তার পরিবারকে জানান।

এরপর বদলিজনিত কারনে তিনি রাজশাহী রেঞ্জের জয়পুরহাটের কালাই থানায় যোগদান করেন। সেই থেকে তিনি কালাই থানায় কর্মরত আছেন। এরইমধ্যে গত ২২ অক্টোবর মনিরুজ্জামানের ব্যবহৃত মুঠোফোন ও ল্যাপটপ আটকে রাখার অভিযোগে তার স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে গাইবান্ধা আমলি আদালতে গাইবান্ধার এসপি নিশাত এ্যাঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার ও নিকট আত্মীয় তারেকুজ্জামান তুহিনকে আসামী করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘মনিরুজ্জামানের এক আত্মীয় ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালান। বিষয়টি শোনার পর পুলিশ সুপার তাকে নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। তখন এসআই মনিরুজ্জামান এসব বিষয় অস্বীকার করেন। পরে তার মুঠোফোন ও ল্যাপটপ পরীক্ষার জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। সিআইডির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই এসআইকে কালাই থানা থেকে প্রত্যাহার

ওয়ানডেতে কোহলির নতুন ইতিহাস

নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছেঃ মির্জা ফখরুল

ফ্যাসিষ্ট চক্র জনগণের আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ষড়যন্ত্র করছে

সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮১২

শেরপুরে কাঁচাবাজারে বেড়েছে সরবরাহ : কমছে দাম