বগুড়া চেলোপাড়ায় সড়কের জায়গা দখল করে সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় বগুড়া-চন্দবাইশা সড়কের জায়গা দখল করে একটা বহুতল ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া পৌরসভার নকশা বর্হিভূত ভাবে এই ভবন ও সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধিতা করলেও তাদের কথা শোনা হচ্ছে না।
বগুড়া শহরের চেলোপাড়াস্থ মধুবন সিনেমা হলের ঠিক বিপরীতে অধুনালুপ্ত একটি ছ‘মিলের কিছু অংশে জাহাঙ্গীর আলম গং বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে দোকান ঘর করা হয়েছে কিন্তু ভবনের সীমানায় কোন সেপটিক ট্যাঙ্ক করা হয়নি। ভবন মালিকেরা বগুড়া-চন্দনবাইশা সড়ক দখল করে সেপটিক ট্যাঙ্ক এর জন্য মাটি কাটতে থাকলে এলাকাবাসী তাতে বাধা দেয়।
এলাকাবাসীর কথায় তোয়াক্কা না করে তারা মাটি কাটাতে থাকে। পরে এলাকাবাসী বগুড়া পৌরসভা কতৃপক্ষ এবং ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করে মৌখিক অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পরিমল চন্দ্র দাস জানান, মধুবন সিনেমা হলের বিপরীতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। যে ভবনের অনুমোদিত নকশা নাই বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ১৬ জন ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে জমি কিনে ভবন নির্মাণ করেছে তারা ভবনের সীমানায় সেপটিক ট্যাঙ্ক না করে ভবনের বাইরে বগুড়া-চন্দনবাইশা সড়কের কিছু জায়গা দখলে নিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক নির্মাণ করছে।
আরও পড়ুনযা আইন বর্হিভূত। তিনি বলেন, রাস্তার ধারে ড্রেন করার মত কোন জায়গা না রেখে তারা সেপটিক ট্যাংকি নির্মাণ করছে যা তারা করতে পারে না। এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা দিয়েছে, তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে তিনি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করলে তিনি জানিয়েছেন ওই ভবনের কোন অনুমোদিত নকশা নাই। বগুড়া পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. শফি মাহমুদও এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। ওই ভবনের অংশিদার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। যদি তাই হয়ে থাকে তবে তা বন্ধ করবেন বলে তিনি জানান।
বগুড়া পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. শফি মাহমুদ বলেন, তিনি ভবনটি পরিদর্শন করেছেন, দেখেছেন বাড়ির সামনে গভীর করে খনন করা হয়েছে। তার এটি ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে বললেও ড্রেন এত গভীর করে খনন করা হয়না। তা ছাড়া ড্রেন করলে পৌরসভা করবে। তিনি মাটি ভরাট করে দিতে বলেছেন বলেও জানান।
মন্তব্য করুন