কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার
বগুড়ার সোনাতলায় জরাজীর্ণ ভবনে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় জরাজীর্ণ ভবনে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। এতে করে সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কাগজপত্র। এদিকে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের একটি পরিত্যক্ত টিনসেড ভবনে চলছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। জরাজীর্ণ ওই ভবনের টিনের ছাদ চালুনের ছিদ্রের মতো অবস্থা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি এলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে মূল্যবান কাগজপত্র, ফাইলপত্র ও ফার্নিচার ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ওই ভবনে নেই আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে পাশের কোন অফিসে গিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়।
এদিকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুই তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হলেও কাজটির প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হওয়ার পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজটি ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। ভবনটি নির্মাণ কাজ গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ করার কথা ছিল।
এ বিষয়ে বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাজুল ইসলাম ও তেকানী চুকইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন বলেন, টিনশেড ভবনে সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে। এতে করে অফিসের মূল্যবান ফাইলপত্র ও ফার্নিচার নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও ভবনটিতে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনএ বিষযে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম বলেন, টিনশেড ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ওই ভবনে প্রশাসনিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলে পানি পড়ে কাগজপত্র ও ফার্নিচার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এমনকি ভবনটিতে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা বিভাগ দুইতলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজটি ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন