চাঁদাবাজির অভিযোগে নভেম্বর থেকে গাড়ি বিক্রি বন্ধের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ীদের

বিক্রয়কেন্দ্রে হামলা ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজধানীর সব গাড়ির দোকান অর্ধদিবস বন্ধ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন গাড়ি ব্যবসায়ীরা। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে নভেম্বর মাস থেকে গাড়ি ছাড় করা, নিবন্ধন করা ও রাজস্ব দেওয়া বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় মানববন্ধন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসা বন্ধের এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, ভুয়া নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে একে-৪৭ রাইফেলের ছবি পাঠিয়ে গাড়ি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গত আগস্ট থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ১২টি বিক্রয়কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে জিডি করা হলেও জড়িতদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
আরও পড়ুনএমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের এভাবে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশের ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির বিপক্ষে এবং সরকারের সঙ্গে আছেন, এই বার্তা দিতেই আজকের মানববন্ধন। এ সময় চলতি মাসের মধ্যে যদি চাঁদাবাজি বন্ধ না হয় এবং সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে নভেম্বর থেকে গাড়ি ছাড়, নিবন্ধন ও রাজস্ব বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা’র সদস্য ছাড়াও গাড়ি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে ধারাবাহিকভাবে বারিধারা ও প্রগতি স্বরণি এলাকার বিসমিল্লাহ কার সেন্টার, কার সিলেকশন, টার্বো অটো, বেগ অটো, হ্যালো কার, জুম অটোসহ মোট ১২টি বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনার পর বিদেশি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মেসেজ দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণের পর আশপাশের বিক্রয়কেন্দ্রে ফোন দিয়ে চাঁদা না দিলে পরবর্তীতে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন