ভিডিও সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সমবায় সমিতির নামে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সমবায় সমিতির নামে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দারিদ্রমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে চার হাজার সদস্যের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সমিতির সদস্যরা সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত চেয়ে উপজেলা মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সমিতিটি ২০০৭ সালে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।

সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন রমনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান। বর্তমানে তিনি সমিতির সভাপতি পদে বহাল আছেন। সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার হাজার সদস্যের কাছ থেকে মাসিক হারে ২০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।

২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা সদস্যরা জমা করেন। এরমধ্যে কিছু টাকা দিয়ে সমিতির এবং সভাপতির নিজনামে এক একর ১৯ শতক জমি কেনা হয়। ওই বছর সমিতি কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে, উপজেলা সমবায় কার্যালয় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।

সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান কৌশলে রমনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকার সাথে যোগসাজস করে ৪৯ শতক জমি ওই চেয়ারম্যানের কাছে বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। বর্তমানে সমিতির ৭০ শতক জমি রয়েছে।

সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এবং টাকা না পাওয়ায় সদস্যরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অথচ সমিতির সভাপতি টাকা আত্মসাৎ করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সমিতির সদস্যরা টাকা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন

রমনা ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার সমিতির সদস্য রাশেদা (৫০) বলেন, বেশি মুনাফা পাওয়ার আসায় অন্যের বাড়িতে গৃহস্থলির কাজ ও ধারদেনা করে প্রতি মাসে ৫শ’ টাকা করে জমা করি। বর্তমানে আমার জমা টাকা দাড়িয়েছে ৩ লাখ।

একই এলাকার সখিনা বেগম (৬০) বলেন, ভিক্ষা, ঋণ ও মাটিকাটার কাজ করে মাসে দুই হাজার টাকা করে জমা করে আমার এখন ৬ লাখ টাকা জমা হয়েছে। সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় টাকা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছি।

জোড়গাছ বাজার এলাকার রিকশাচালক রিপন মিয়া বলেন, আমি বেশি লাভের আসায় রিকশা চালিয়ে ও ধারদেনা করে মাসে দেড় হাজার টাকা করে জমা করি। আমার সঞ্চয়কৃত টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার। টাকা ফেরত না পাওয়ায় আশায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করি কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। সমিতির সভাপতি আওয়ামী লীগের নেতা চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। টাকা না পাওয়ায় আমি স্ত্রী, সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাবায় কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বলেন, বিধি অনুযায়ী সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা না করায় জেলা কর্তৃপক্ষ গত বছরের ২৭ মে সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সমবায় সমিতির নামে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

১৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে: ইসরায়েল

বগুড়ার শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদপানের পাঁচজনই মারা গেলেন

নারায়ণগঞ্জে হাসপাতালে নারীসহ দালাল চক্রের ১৪ সদস্য আটক

মেদ ঝরাতে সাইকেল চালান

বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধণা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত