কাদা রাস্তায় কাঁদছে মানুষ কথা রাখেনি কেউ

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ডিসি রাস্তার সংযোগ সড়ক খোর্দ্দ রসুলপুরের মোংলাবন্দর থেকে উত্তরে বুজরুক রসুলপুরের প্রবেশদ্বারে একমাত্র কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু কাদায় পরিণত হয়।
এসময় হালকা যানবাহন দূরের কথা হেঁটে চলতে গিয়ে অনেকে উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এভাবে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী। রাস্তাটি সংস্কারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি কেউ।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউনিয়নের মোংলবন্দর থেকে উত্তর দিকে সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকিরের বাড়ি ঘেঁসে বুজরুক রসুলপুর হামিদ মণ্ডলের ঈদগাহ্ মাঠ পর্যন্ত দেখা গেছে- রাস্তাটির নাজুক অবস্থার চিত্র।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক যুগ আগে ওই রাস্তাটি তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল জনস্বার্থে প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের ভেতর দিয়ে নতুন করে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেন। এ রাস্তা দিয়ে সমাজের মসজিদ ও ঈদগাহ্ মাঠে নামাজ আদায় করতে যান মুসল্লিরা। শুধু তায় নয়, আইডিভুক্ত ১২শ’ মিটার এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন রিকশাভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে।
এতে শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় জলাবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় হাঁটু কাদা। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় যাতায়াতের কষ্ট। এতে চলতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আরও পড়ুনভুক্তভোগীরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলার অন্যান্যা উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও, অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মোংলাবন্দর-হামিদমন্ডলের ঈদগাহ মাঠের রাস্তাটি। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়। এ রাস্তা জরুরিভাবে পাকাকরণ দরকার।
এ বিষয়ে বুজরুক রসুলপুর (পিরোজপুর) গ্রামের বাসিন্দা ও সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকির বলেন, যখন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয় তখন এপথে প্রার্থী ও কর্মীদের পদচারণ বেড়ে যায়। রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আর নির্বাচিত হলে সহজে দেখা মেলে না তাদের।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও আজও কথা রাখেনি কেউ। জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, ওই রাস্তার ব্যাপারটি আমার মাথায় আছে। এটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হতে পারে বলে আশাবাদী। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো: মেনহাজ জানান, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে এখন কোন বরাদ্দ নেই। সামনে কোন প্রজেক্ট আসলে করে দিবেন তিনি।
মন্তব্য করুন