হবিগঞ্জ বিজিবি এবং র্যাবের যৌথ অভিযানে ভারতীয় জিরা, চকলেট, বিস্কুট এবং যানবাহনসহ গ্রেফতার ৫

বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি চোরাচালান দমন ও মাদক মুক্ত করতে বিজিবি আপোষহীনভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সরাইল রিজিয়ন ও শ্রীমঙ্গল সেক্টরের অধীনস্থ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) চোরাচালান দমন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময়ে ৫৫ বিজিবি এবং র্যা ব-৯, সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল যৌথভাবে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করে দুইটি পিকআপ ভ্যানে লাকড়ির নিচে লুকায়িত অবস্থায় ভারত হতে চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, চকলেট, বিস্কুট ও অন্যান্য সামগ্রীসহ ২টি পিকআপ ভ্যান এবং ০৫ জনকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ সদর থানাধীন ১০নং লস্করপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লস্করপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে ভারতীয় অবৈধ মালামাল পরিবহনের সংবাদের ভিত্তিতে লস্করপুর গ্রামের পাকা রাস্তার উপর হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি ও র্যা ব-৯, সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প কর্তৃক যৌথ চেকপোষ্ট স্থাপন করে। রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে সিলেট হতে ঢাকাগামী সন্দেহজনক ০২টি পিকআপ চেকপোষ্টের নিকটে আসলে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপ দুটিতে লাকড়ি/ জ্বালানী কাঠ দেখতে পায়। কাঠ সরিয়ে গাড়ি দুইটি তল্লাশী করে দুইটি পিকআপ থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা, অরিও বিস্কুট, কিটক্যাট, স্নিকার, ডেইরি মিল্ক, পার্ক, বেঞ্জো, মাঞ্চ চকলেট জব্দ করে। এসময় এসব অবৈধ মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ০২টি পিকআপ জব্দ এবং জড়িত থাকার অপরাধে ০৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত যানবাহন ও পন্যের আনুমানিক সিজার মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকার বেশি।
অভিযানের বিষয়ে ৫৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন “দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালানরোধ করতে বিজিবি সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকল ধরনের চোরাচালানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যা ব এর সাথে যৌথ অভিযানে লাকড়ি বা জ্বালানী কাঠ পরিবহনের আড়ালে লুকানো অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিজিবি হলো জনগণের আস্থার প্রতীক, আর সেই আস্থাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
আরও পড়ুনজব্দকৃত সকল পণ্য, যানবাহন এবং আসামী থানায় মামলা দায়ের করে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চোরাচালানী চক্রকে শনাক্ত করতে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। চোরাচালান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলকে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছে বিজিবি।
মন্তব্য করুন