ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ায় আদালত থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

বগুড়ায় আদালত থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া আদালতে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া জোড়া হত্যা মামলার হাজতি আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) পুনরায় গ্রেফতার হয়নি। গত দুদিন পেরিয়ে গেলেও সে ধরা পড়েনি। তবে দায়িত্বে অবহেলার জন্য ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, আদালত হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া, আতাহার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল দুলাল মিয়া, কনস্টেবল জাকির হাসান।

এ ঘটনায় আদালতের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।

এর আগে গতকাল সোমবার বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের হাজতখানা হতে জেলা কারাগারে প্রেরণের আগে বিকেল ৪ টার দিকে কৌশলে পালিয়ে যায় আসামি রফিকুল ইসলাম। পালানোর সময় তার হাতে হ্যান্ডকাপ ছিলনা। কৌশলে হান্ডকাপ খুলে পালিয়েছে সে। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তাকে পুনরায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক রফিকুল ইসলাম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে।

আরও পড়ুন

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দুপচাঁচিয়া আমলি আদালতে হাজিরার জন্য জেলা কারাগার হতে প্রিজনভ্যানে তাকেসহ অন্যান্য আসামিকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় আনা হয়।

এরপর সেখান থেকে আদালতে হাজিরা শেষে বিকেল ৪ টার দিকে হাজতি আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নিচে প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য আদালত ভবনের দোতলায় লিফট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু লিফটে না উঠে দোতলার সিঁড়ি দিয়ে কৌশলে ভিড়ের মধ্যে হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়ে যায় আসামি রফিকুল।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে ভয়াবহ ডাকাতি ও জোড়া খুনের ঘটনায় অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম। ওই রাতে সৌদি প্রবাসী শাহাজানের স্ত্রী রিভা আক্তার (৩০) ও শ্বশুর আফতাব উদ্দিন (৭০) নির্মমভাবে খুন হন। তবে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যায় পরিবারের শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহা। হত্যার পর নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় ডাকাতরা।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো: আতোয়ার রহমান বলেন, পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামকে ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি বলেন এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজাগামী নৌবহর ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র সুরক্ষায় সামরিক নৌযান পাঠিয়েছে ইতালি ও স্পেন

‘সেমিফাইনালে’ আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

মার্কিন কোম্পানিকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হারলো বাংলাদেশ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার ১

বগুড়ার শেরপুরে শেরুয়া বটতলা থেকে ব্রাকবটতলা রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত