ভিডিও শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশের তদন্ত টিম গঠন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খোলেনি, খুনিরা অধরা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে শাহিনুর হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খোলেনি, খুনিরা অধরা

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সারিয়াকান্দির অলোচিত শাহিনুর বেগম হত্যাকান্ডে রহস্যের জট খোলেনি। ধরা পড়েনি কোন ঘাতক। এর আগে ওই নারীর হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।

এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের একটি বসতবাড়ি থেকে শাহিনূর বেগম (৫০) নামে একজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার রহস্য বা আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশ এলাকাবাসী।

তবে এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে সরমিলা আক্তার শ্রাবন্তী (১৯) বাদি হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি আসামি হিসাবে কারোর নাম উল্লেখ করেননি। এ হত্যার ঘটনায় ওই নারীর ব্যবহৃত একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না। ওই নারীর গত ১৫ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার একমাত্র ছেলে শাজিক আল হাসান ওরফে আল আমিন (২৮) একজন সৌদি প্রবাসি এবং মেয়ে শ্রাবন্তী বিয়ের পর তার স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকেন।

ছেলের বাড়িতে হত্যার শিকার ওই নারী একা বসবাস করতেন। তাই পরিবারের ধারণা নেশার টাকা জোগাড় করতে কিছু অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে,বসতবাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করে পালিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় ওই নারীর মাটির ব্যাংক গায়েব হয়েছে। ওই মাটির ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রাখতেন।

নিহত শাহিনুর বেগমের বোনের ছেলে শিপন মিয়া এবং মামলার বাদি জানান, ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমরা ঘটনার হত্যাকান্ডের আসল রহস্য জানতে পারলাম না। এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন চাই।

আরও পড়ুন

নিহতের ছেলে আল আমিন বলেন, গত কয়েকমাস আগে আমি মাকে ৪৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেননি। রাস্তার মধ্যেই তার কাছ থেকে ছিনতাই হয়ে যায় টাকাগুলো। গত কয়েকদিন আগেও আমি ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।

তাছাড়া মার একটি বড় মাটির ব্যাংক ছিল, সেই মাটির ব্যাংকে মা প্রায়ই ১ হাজার টাকার নোট জমা করতেন। আমি ধারণা করছি মার মাটির ব্যাংক নিতেই তার সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সারিয়াকান্দি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে আমরা চেষ্টা করছি। খুব তারাতারি আমরা এ হত্যার ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবো।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন ঘর পেলেন গৃহহীন আনিশা ও মোমেনা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি'র দ্বি-কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতীকে প্রতীকে জমে উঠেছে

রাজশাহীর তানোরে দুই বাড়িতে ডাকাতি

নওগাঁয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে, বগুড়া জেলা দলের ৫-০ গোলে জয়লাভ

বগুড়ার শাহজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনা আহতদের সেনা টহল দলের সহায়তায় উদ্ধার

হাসিনার আমল বাংলাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায় : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান