ভিডিও শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেবিচক থেকে জমি অধিগ্রহনের উদ্যোগ নাই

থমকে আছে বগুড়া বিমানবন্দরের কাজ

বেবিচক থেকে জমি অধিগ্রহনের উদ্যোগ নাই থমকে আছে বগুড়া বিমানবন্দরের কাজ, ছবি সংগৃহীত

রাহাত রিটু : বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তপক্ষ এর পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহনের কোন চিঠি না  দেওয়ায় বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ থমকে আছে। বগুড়ার প্রতিশ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অন্যতম হচ্ছে বগুড়া বিমানবন্দর চালু করা। জমি অধিগ্রনের কাজের কোন অগ্রগতি না থাকায় সহসায় বগুড়া বিমানবন্দর থেকে বিমান উড়ছে না।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বগুড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। দীর্ঘ ১৬ বছরের বঞ্চনার পর বগুড়ার মানুষ উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছিল সেই স্বপ্ন পূরণ করতে বগুড়ায় পর পর কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ায় বিমান বন্দর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।  চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ শীতবস্ত্র বিতরণসহ  বিভিন্ন কাজে বগুড়ায় আসেন। এ সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, বগুড়া বিমান বন্দর চালু হতে যাচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে বগুড়ায় বিমানবন্দরের কাজ শেষ হবে এবং বগুড়া থেকে প্রাথমিক ভাবে অভ্যন্তরীন রুটে বিমান চলাচল শুরু হবে। তিনি বগুড়ায় সর্ট ফিল্ড টেক অব এন্ড ল্যান্ডিং(এসটিওএল পোর্ট) রান ওয়ে পরিদর্শন করে এই ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেছিলেন, যে রানওয়ে আছে তা খুবই দুর্বল,শক্তি কমে গেছে। উপরিভাগ আরও শক্তিশালী করতে হবে। রানওয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। বিমানবন্দর চালু করতে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ফুট রানওয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। ফান্ডিং পেলে কাজ হবে।

এদিকে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি দেন  এবং সরকারের উদ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যে রান ওয়ে আছে তার সাথে আর দেড় হাজার বা ২ হাজার রানওয়ে বৃদ্ধিকরলে অভ্যন্তরীন বিমান চলাচল করতে পারবে। ৬ হাজার ফুট রানওয়ে করতে আরও প্রায় ১শ একর জমি অধিগ্রহন করতে হবে। আর ১০ হাজার ফুট করতে হলে ৩শ একর জমি অধিগ্রহন করতে হবে। ১শ একর জমি অধিগ্রহন করতে ২৫ কোটি টাকার মত লাগতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহনের জন্য কোন চিঠি বা বরাদ্দ আসেনি। তিনি বলেন, বেসরকারি বিমান চলাচল কতৃপক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহনের কোন চিঠি পাননি তিনি । ফলে জমি অধিগ্রহনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে বিমানবন্দর এর আশে পাশের বড়বড় গাছ কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

এদিকে বর্তমানে যে রান ওয়ে আছে তা নির্ধারিত সময়ে রানওয়ে সংস্কার হলো কিন্তু আর কোন কিছু হলো না।  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গত ১২ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন জুলাই মাস থেকে ছোট পরিসরে বিমান চলাচল করতে পারে। কিন্তু তা আর হয়নি।

উল্লেখ্য প্রায় ২যুগ আগে বগুড়া বিমানবন্দর করা হলেও সেটি চালু হয়নি। বিমান বাহিনী র‌্যাডার স্টেশন এটি হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। বগুড়ায় একটি বিমান বন্দরের অভাবে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে বগুড়া। উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু এবং শস্যভান্ডার খ্যাত বগুড়া থেকে প্রতিবছর শাক সবজি ও আলু মধ্যেপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাবে। বিমান বন্দর হলে বগুড়া থেকে সরাসরি এবং স্বল্প সময়ে এইসব পন্য বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হবে। তা ছাড়া বগুড়ায় একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম রয়েছে, বিমান বন্দর না থাকার কারনে এই মাঠে আন্তর্জাতিক খেলা করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিমানবন্দর হলে বিদেশী বিনিয়োগকারিরা সহজেই বগুড়ায় আসবেন এবং বিনিয়োগ করবে। সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়া  এবং বঞ্চনার শিকার বগুড়া এগিয়ে যাবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শবনম ফারিয়ার পোস্ট, কমেন্টে যা বললেন সারজিস আলম

বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো কাদের ও লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

নারী ক্রিকেটে কাউন্সিলরশিপ দাবি

শ্রীলঙ্কায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৫

ইউরোপকে অবশ্যই রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে: ট্রাম্প