বগুড়ার সবজির বাজারে দামের অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় সবজির বাজারে অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শহরের বেশিরভাগ বাজারে ৬০ টাকা কেজির কমে মিলছে না কোন সবজি। আবার কোন কোন সবজির দাম পেড়িয়ে ১শ’ টাকার ওপর।
বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়-বেগুন, পটল, ঢেঁড়স ও পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আর কাঁচামরিচের কেজি ১৬০। কিছুটা বেড়েছে আলুর দামও। ২০-২২ টাকা থেকে দাম বেড়ে বিভিন্ন জাতের ও মানের আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ১২০, টমাটো ১৬০, শীতকালীন আগাম বাঁধাকপি ১৬০, ফুলকপি ও শিম ২০০, করলা ও ঝিংগা ১০০, পেঁপে ২০, দেশি আদা ১৬০, রসুন মানভেদে ১৪০-২০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের ভারি বর্ষণের প্রভাবে বাজারে সবজি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূলতঃ বৃষ্টির কারণে জমিতে ফসলের ক্ষতি এবং ফসল তুলে না পারার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। আর চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোন কোন সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে, তবে দাম আকাশচুম্বী। সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে শুরু করবে বলে দাবি করছেন তারা।
এদিকে সবজির পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের আটার দাম। গতকাল প্রতিকেজি খোলা আটা ৫০ টাকা এবং এক কেজির প্যাকেট ৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল অপরিবর্তিত ১৮৫ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৯০, মসুরের ডাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, লালচিনি ১২০ এবং সাদাচিনি ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি ১৬০, আর পাকিস্তানি মুরগি ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি হালি ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও বাড়তি দামেই সব ধরনের মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনদেড় থেকে দুই ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, আড়াই কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২২০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও চিংড়ির কেজি ৮শ’ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশ চড়া। বগুড়ার বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের সর্বনিম্ন দাম এক হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৮শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। গরুর মাংসের কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন