বারহাট্টায় ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, অভিযুক্ত পলাতক
_original_1756897400.jpg)
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ধর্ষণের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক কিশোরী (১৪)।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পালিয়ে গেছে। এরপর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুনঅভিযুক্ত কিবরিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে। আর ভুক্তভোগী কিশোরী তার প্রতিবেশী।
গ্রেফতার হওয়া পারুল আক্তার একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যান প্রতিবেশী পারুল আক্তার। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল কিবরিয়া। তখন ঘরের বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে অন্যত্র চলে যান পারুল। এদিকে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন কিবরিয়া। পরে তিনি তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন।
বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায়নি ভুক্তভোগী। তবে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করা হয়। পরে রাতেই পারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যায় কিবরিয়া।
বারহাট্টা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এরপর পারুল আক্তার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামি কিবরিয়া পালিয়ে গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন