বগুড়ার সোনাতলায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি নিম্নাঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সোনাতলায় নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নদী কূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ও পাকুল্যা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে রোপনকৃত আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। ওই এলাকার কৃষকেরা গত মাসের শেষের দিকে আমন ধান রোপন করে। ধান রোপনের ২০-২৫ দিনের মাথায় টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে কৃষকের রোপনকৃত ধান পানির নীচে ডুবে যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, ওই ২ ইউনিয়নে ১৪ হেক্টর জমির ধান পানির নীচে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার মধুপুর, জোড়গাছা, সোনাতলা সদর, বালুয়া ও দিগদাইড় ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের ধান পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চলতি বছর রাসায়নিক সার, কীটনাশকের পাশাপাশি চারার দাম ৩ গুন বেশি। বেশি দামে এসকল কৃষি উপকরণ ব্যবহার করে ধান রোপন করার পর সেগুলো ধান বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তেকানীচুকাইনগর এলাকার খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, নদী কুলীয় এলাকার শত শত বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। এছাড়াও চরাঞ্চলে রোপনকৃত আমন ধান পানিতে ডুবে সীমাহীন ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী এলাকার নিচু জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি কমে গেলে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় ১৪ হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে। এতে করে ওই উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
আরও পড়ুনউল্লেখ্য, ওই এলাকার কৃষকের আগাম মরিচের চারা রোপন করলেও সেগুলো পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন