বগুড়ায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৩

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেশ কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এক পক্ষের নেতৃত্বে থাকা কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম ঠান্ডু জানান, কড়িতলা হাটের ইজারা নিয়ে এবং আগামী বুধবার পোড়াদহ মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান হিল্টুর নেতৃত্বে কিছু বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন দেশিয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে তার গ্রুপের সাতজন আহত হন। তারা হলেন-ইউনিয়ন বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও বিবিরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন পুটু (৪০), ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বাহাদুর প্রামানিকের ছেলে স্বপ্ন মিয়া (৪০), লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪৫), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিমের ছেলে রাজু আলম (৩৫), ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মৃত শাহীনূর প্রামানিকের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) এবং ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আহাম্মদ আলী প্রামানিকের ছেলে সুজন মিয়া (৪৫)। আহতদের সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সবাই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন পুটু, বাচ্চু মিয়া এবং আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান হিল্টু জানান, তার লোকজন বাজারে চা পান করছিল। এমন সময় সভাপতি রেজাউল করিম ঠান্ডুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার গ্রুপের ছয়জন আহত হন। তারা হলেন-কামালপুর কড়িতলা গ্রামের ইয়াছিন আলী মন্ডলের ছেলে কামাল হোসেন (৩৮), সমসের আলী মন্ডল (৫৫), গোলাম কিবরিয়া (৩৫), আজাদ মিয়া (৩০), একই গ্রামের মজনু সরকারের ছেলে মাজু সরকার (৬০) এবং রৌহাদহ গ্রামের নিয়ামত খাঁর ছেলে সোবদুল খাঁ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং কয়েকজন অন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, সর্বমোট সাতজন বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছি। সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন