সহকর্মীর সঙ্গে গল্পে যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেক অফিসে দেখা যায়, অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার কারণে সহকর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, গসিপ, পক্ষপাত ও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এতে অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং কাজের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে পড়ে। তাই অভিজ্ঞরা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে সামাজিক সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, আর্থ-সামাজিক অবস্থান মিলিয়ে বিষয়গুলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। তাই জেনে নিন কোন বিষগুলো এড়িয়ে চলা ভালো-
১. আর্থিক সমস্যা ও লেনদেন
বাংলাদেশে আর্থিক সমস্যা নিয়ে কথা বলা সাধারণ হলেও অফিসে তা নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা কাজের পরিবেশের জন্য ভালো নাও হতে পারে। ঋণ, বকেয়া অর্থ, আর্থিক ঝুঁকি বা ব্যক্তিগত লেনদেনের জটিলতা শেয়ার করলে সহকর্মীদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করতে পারে। এটি আপনার ব্যক্তিত্বের জন্যও নেতিবাচক হতে পারে।
সহকর্মীর সঙ্গে গল্পে যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন
২. পারিবারিক সমস্যা
বিবাহ, পারিবারিক কলহ, সন্তানদের জীবন বা প্রেম-বিরহ নিয়ে অতি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলে এটি গসিপের সূত্রপাত হতে পারে। বাংলাদেশে পরিবার কেন্দ্রিক সমাজ হওয়ায় এসব বিষয় গোপন রাখা ভালো।
৩. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য
শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে কিছুটা শেয়ার করা প্রয়োজন হতে পারে, তবে খুব বেশি গোপনীয় বা সংবেদনশীল তথ্য জানানো পেশাগত সম্পর্ক ও সহানুভূতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। একই সঙ্গে এটি আপনার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণও হতে পারে।
৪. নেতিবাচক ও গোপন তথ্য
আরও পড়ুনবাংলাদেশের অফিস সংস্কৃতিতে বস বা অন্য সহকর্মীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলা বা গোপন তথ্য প্রকাশ করা পেশাগত পরিবেশকে বিষাক্ত করে। এতে মনমালিন্য, দলীয় বিভাজন ও কাজের মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সহকর্মীর সঙ্গে গল্পে যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন
৫. ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মত
বাংলাদেশে ধর্ম ও রাজনীতির গুরুত্ব বিবেচনায় ধর্মীয় মতবিরোধ বা রাজনৈতিক আলোচনা কাজের পরিবেশে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা ভালো।
৬. ব্যক্তিগত অভ্যাস ও সীমাবদ্ধতা
ধূমপান, মদ্যপান বা অন্যান্য ব্যক্তিগত অভ্যাস নিয়ে অতিরিক্ত আলোচনা সহকর্মীদের বিরক্ত করতে পারে এবং পেশাগত সম্মান হ্রাস পেতে পারে।
মন্তব্য করুন