সারাজীবন যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর সবাই খোঁজে
প্রতিটি মানুষের জন্মের পর থেকে শুরু হয়ে যায় ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা। শৈশব কাটে মা–বাবার স্নেহছায়ায় নির্ভার সময়ের মধ্য দিয়ে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তা মানুষের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। জীবনের পথে চলতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফেরেন— যা কখনো স্পষ্ট হয় না, কখনো আবার উত্তর মিললেও তাতে শতভাগ সন্তুষ্টি আসে না।
চাকরি জীবনের শুরু থেকেই সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তার কথা ভাবতে শুরু করেন সবাই। নিয়মিত চেষ্টা থাকলেও অনেকের কাছেই আর্থিক স্বচ্ছলতা যেন অধরাই থেকে যায়। তখন ভাগ্যের আশায় কিংবা হঠাৎ বড় প্রাপ্তির স্বপ্নে মানুষ পেতে চায় জীবনের মোড় ঘোরানো কোনো সুযোগ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন— বর্তমান চাকরি কি সঠিক?
ক্যারিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও স্পষ্ট হয়। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, নাকি প্রত্যাশার চেয়ে কমে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে— এ ধরনের প্রশ্ন বেশিরভাগ কর্মজীবী মানুষকে বারবার ভাবায়।
প্রেমের সময় সবকিছু সহজ ও রঙিন মনে হলেও কমিটমেন্টের পর্যায়ে এসে দ্বিধা বাড়ে। সম্পর্কটি দীর্ঘমেয়াদে টিকবে কি না, দুই মানুষ আসলেই একে অপরের জন্য মানানসই কি না— এই প্রশ্নগুলো তখন মনের গভীরে ঘুরপাক খেতে থাকে।
আরও পড়ুনবিয়ের শুরুর আনন্দ কাটতে না কাটতেই পরিবার ও সমাজের চাপ শুরু হয় সন্তান বিষয়ক নানা প্রশ্ন নিয়ে। নিজের ইচ্ছা, প্রস্তুতি ও বাস্তবতার মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন।
পঞ্চম ও শেষ প্রশ্ন— জীবনের আয়ু কতদিন?
মানুষ সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটির উত্তর জানতে চায় সেটি হলো— নিজে কতদিন বাঁচবে। যদি আগেই জানা যেত আয়ুর সীমা, তা হলে হয়তো জীবনের সব পরিকল্পনা গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই মানুষকে প্রতিদিন নতুন করে ভাবায়— সময়টুকু কীভাবে কাজে লাগানো যায়।
জীবনের এই পাঁচ প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর না থাকলেও এসব ভাবনা নিয়েই এগিয়ে চলে মানবজীবনের পথচলা— স্বপ্ন, সংশয় ও প্রত্যাশার সমন্বয়ে।
মন্তব্য করুন



_medium_1764764296.jpg)

_medium_1764681341.jpg)



