ভিডিও মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করল মিয়ানমার জান্তা

ছবি : সংগৃহীত,অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করল মিয়ানমার জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসামরিক নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির শাসনভার এখনও আগের মতোই সেনাপ্রধানের হাতে রয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার যে আদেশ জারি করা হয়েছিল, তা বাতিল এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশে একটি নতুন বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন তদারকি করবে।

তবে জান্তা সরকারের এই পদক্ষেপে মিয়ানমারে প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলেও দেশটিতে অভ্যুত্থানের হোতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং কার্যত সব ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। কারণ তিনি একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্বে আছেন।

দেশটির সরকারের মুখপাত্র জ্য মিন তুন বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ সাত দফা বৃদ্ধি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জান্তা সরকার বৃহস্পতিবার জরুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।


রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং বলেছেন, আগামী ছয় মাস হবে নির্বাচন আয়োজন ও প্রস্তুতির সময়।’’

আরও পড়ুন

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ উঠলেও জান্তা বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।

জান্তা বাহিনী নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিলেও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ এই নির্বাচনকে ক্ষমতায় সেনা জেনারেলদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার প্রহসন হিসেবে দেখছে। সমালোচকরা বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরাই প্রাধান্য পাবেন এবং বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

মিয়ানমার নিয়ে কাজ করা স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন বলেছেন, ক্ষমতার এই পরিবর্তন শুধুই বহির্বিশ্বকে দেখানোর জন্য; আসলে যারা আগেও ক্ষমতায় ছিলেন, তারাই থাকবেন এবং আগের মতো দমন-পীড়ন চালাবেন।

তিনি বলেন, তারা কেবল পুরোনো খেলোয়াড়দের নতুন সাজে উপস্থাপন করছেন। কাছাকাছি সময়ে কোনও পরিবর্তন আসবে না। তবে এটি সেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ; যার বিষয়ে আমরা তেমন কিছুই জানি না।

সূত্র: রয়টার্স।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাবনার সুজানগরে পাইপগান উদ্ধার

ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

বগুড়ার কাহালুতে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক ও শিশুসহ তিনজন নিহত

সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, ৮ শ্রমিক দগ্ধ

তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের, পানি বাড়ছে যমুনায়

পাইকগাছায় কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু