ঢাবিতে প্রথমবারের মতো হলভিত্তিক ‘জুলাই সেন্টারের উদ্বোধন
_original_1753713541.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রথমবারের মতো উদ্বোধন করা হলো ‘জুলাই সেন্টার’। ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ, সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই ) শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ভবনে’ অনুষ্ঠিত হয় সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো হলভিত্তিক গবেষণা ও স্মৃতির কেন্দ্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব শুধুমাত্র ছাত্র আন্দোলন ছিল না—এটি ছিল জাতির বিবেকের জাগরণ। এই আন্দোলনের কেন্দ্রে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় জীবনে এক নতুন চেতনার জন্ম দিয়েছিল। আমাদের শ্রেণিকক্ষ হয়ে উঠেছিল রণকৌশলের মঞ্চ, আর এই ক্যাম্পাস ছিল ন্যায় ও গণতন্ত্রের দুর্গ।
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, “বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের যে আদর্শ ‘জুলাই’ আমাদের দিয়েছে, তা স্মৃতির পাতায় আটকে রাখলে চলবে না। ‘জুলাই সেন্টার’ হবে সেই আদর্শের বাস্তব প্রতিফলন—যেখানে গবেষণা, শিক্ষা ও প্রেরণার একটি নিরবচ্ছিন্ন ধারা তৈরি হবে।”
অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়, যা উপস্থিত সকলের মাঝে গভীর আবেগ ও অনুরণন সৃষ্টি করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়, ‘জুলাই সেন্টার’ ভবিষ্যতে গবেষক, শিক্ষার্থী ও আন্দোলনপ্রেমী সমাজের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জ্ঞানকোষ ও স্মৃতির জাদুঘরে রূপান্তরিত হবে।
মন্তব্য করুন