বগুড়ার সান্তাহার সাইলোর সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে শত শত গর্ত, জনদুর্ভোগ
 NEWS-24-07-2025 copy_original_1753370021.jpg)
সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সান্তাহার খাদ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ‘সান্তাহার সাইলো সড়ক’টি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে পাথর ও খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট বড় শতশত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার জুড়ে ভাঙা ও বেহাল সড়কটি জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে । ৯ বছর সংস্কারহীন সড়কটি সাময়িকভাবে চলাচলযোগ্য করে তুলতে নওগাঁ সার ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন ও সান্তাহার ট্রাক মালিক সমিতি এগিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সংগঠন দু’টির নেতৃবৃন্দেরা ইট ফেলে বড় বড় গর্ত ভরাট করে দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাইলো রয়েছে, যার মধ্যে একটি গম ও আরেকটি চালের এবং এর প্রায় আধা কিলোমিটার উত্তরে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি সারের গুদাম রয়েছে। সাইলোতে যেতে সান্তাহার মেইন রোডের খাঁড়ির ব্রিজ থেকে সারের গুদামের সামনে দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের একটি সড়ক রয়েছে। খাদ্য বিভাগের এ সড়ক দিয়ে সাইলো ও সার গুদামে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে। সেই সাথে সড়কটি সান্তাহার পৌরসভা, সান্তাহার ইউনিয়ন ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন, রানীনগরের বোদলা, পালশা, তেবারিয়াসহ প্রায় ২৫-৩০ গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা। তারা অনেকে এ পথে যানবাহন ও হেঁটে চলাচল করেন। বর্তমানে বেশিরভাগ স্থানে পাথর, ইট ও খোয়া উঠে গিয়ে ছোটবড় শত শত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানিয় বাসিন্দা সজল হোসেন বলেন, ৮-৯ বছর ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হবে হবে বলে সড়কটি সংস্কার হচ্ছেনা। বেশি দিন হওয়ায় ছোট গর্তগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকছে। যানবাহন যেতে চাচ্ছে না।
আরও পড়ুনসান্তাহার আন্ত:জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তরবঙ্গের মধ্যে খাদ্য বিভাগের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। বর্তমানে সড়কটির বেহাল দশায় প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন বিকল হচ্ছে। আর একারনেই ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন মালিকরা ওই সড়কে মালামাল বহনে তাদের গাড়ি ভাড়া দিতে চান না। সান্তাহার ট্রাক মালিক সমিরি সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, সড়কে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ট্রাক ও অন্যান্য চলাচল একদম অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। নিরূপায় হয়ে আমরা গর্তে বড় বড় ইট ফেলে সড়কটি সাময়িক যানবাহন চলাচলযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছি। তবে সরকারের কাছে তিনি দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন, খবর নিয়েছি। অচিরেই সড়কটি ভালো বাজেটে নির্মাণ হবে।
মন্তব্য করুন