গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত

গাজীপুরের টঙ্গীতে বসতবাড়ির ফটকে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে মানা করায় মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকাল দশটার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মুক্তিযোদ্ধার আলী আকবর (৭৬) বউ বাজার এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আলী আকবরকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।
আহত আলী আকবার গাজীপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবরের বসতবাড়ির ফটক ও দোকানের সামনে বালু ও নির্মাণ সামগ্রী রেখে নিজ বাড়ি নির্মাণ করছিলেন আব্দুল কাদের কিরণ। এ সময় আলী আকবর তাদের বাড়ির ফটক বন্ধ না করতে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাক বিতণ্ডা হয়। এসময় অভিযুক্তরা আলী আকবরের মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখতে চায়। এসময় অভিযুক্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণাধীন ভবনের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আলী আকবরকে আহত করে। বাবাকে মারধর করতে দেখে আলী আকবরের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সাজ্জাদ এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে দুই পক্ষের মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঘটনার পর দুপুরে আহত আলী আকবরের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সাজ্জাদ একই এলাকার বাবুলের ছেলে হাসিব (২৬), আফজালের ছেলে কাউসার (২৭), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে বাবুল (৬০), শাহজাহানের ছেলে আব্দুল কাদের কিরণ (৩০) ও ইমনের (২৫) বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শাখাওয়াত হোসেন সাজ্জাদ বলেন, আব্দুল কাদের কিরণ তাদের জায়গায় ভবন নির্মাণ করছেন। আর নির্মাণাধীন ভবনের জন্য বালু, রড, বাঁশ আমাদের বাড়ির ফটকের সামনে রেখে দেন। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলাম না। বাড়ির ফটক থেকে সরে গিয়ে নির্মাণ কাজ করতে অনুরোধ জানান আমার বাবা। এতে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়ালে হাসিব ও তার পাঁচজন সহযোগী বাবা ও আমাকে মারধর করেন। এ সময় আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত আব্দুল কাদের কিরণ বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে আমাদের কাজে বাঁধা দিয়েছেন। আমাদেরকে আঘাত করে আহত করেছেন। আমরাও থানায় অভিযোগ করব।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ সামগ্রী রাখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন