নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৭ জন কারাগারে

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা শ্লোগান’ দেয়া নিয়ে বিএনপি কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত) ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইসাহাক আলী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুসহ ১৭ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় এজাহারভূক্ত ১৯ আসামি নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মোঃ নাসিরুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। এসময় শুনানি শেষে বিচারক ২ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ১৭ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কারাগারে পাঠানো অন্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন লালপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ ও উপজেলা যুবলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুনমামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ওমর ফারুক শিমুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৩১ মার্চ লালপুর উপজেলার বলিতিতা ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন পতিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এনিয়ে বিএনপি কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে স্থানীয় বিএনপি কর্মী মোঃ আরজেল আলি (৬২) বাদি হয়ে লালপুর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক আলী, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটক সকল আসামি উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে তাদের আদালতে হাজিরার দিন ধার্য্য ছিল। এতে ১৯ জন আসামি আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। এসময় শুনানি শেষে বিচারক এদের মধ্যে একজন আইনজীবী ও একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দেন। বাকি ১৭ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন