রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ক্ষমতার ভারসাম্যে ঐকমত্যের ইঙ্গিত: জোনায়েদ সাকি
_original_1750335120.jpg)
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এ তথ্য জানান।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ বিষয়ে আয়োচনা হয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের বিষয়ে প্রায় সব দলই একমত পোষণ করেছে। এই কলেজের সঠিক কাঠামো কি হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত দুটি কক্ষবিশিষ্ট সংসদের (উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ) সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের একজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে মোট ৫৭৬ সদস্যের একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সব পর্যায়ের ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর ইলেকটোরাল কলেজের ধারণাও আলোচনায় এসেছে।
সাকি আরও জানান, তাদের পক্ষ থেকে জেলা পর্যায় ও সিটি কর্পোরেশনের একজন করে প্রতিনিধিকে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে রাখার একটি প্রস্তাব ছিল। যেহেতু এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি ঐকমত্য হয়নি, তাই তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
আরও পড়ুনতিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে একটি ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে সম্পন্ন করার বিষয়ে যতটুকু ঐকমত্য হবে, ততটুকু বিষয়ে তারা ছাড় দিতে প্রস্তুত আছেন। গোপন ব্যালটে নির্বাচন এবং ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
সাকি বলেন, গোপন ব্যালটে নির্বাচনের বিষয়ে মোটামুটি সব দলই একমত। কিছু দল তাদের দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছে।
একইসঙ্গে ৭০ অনুচ্ছেদে সংস্কার এনে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরির বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। অর্থাৎ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ এবং গোপন ব্যালটে নির্বাচন- এই দুটি বিষয়ে মোটা দাগে ঐকমত্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
জোনায়েদ সাকি দৃঢ়ভাবে বলেন, তারা মনে করেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বৈঠকটি ছিল জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বের সভা।
মন্তব্য করুন