হৃদয়ে বগুড়া, আবেগে বগুড়া
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টাকে বগুড়ার হাঁটাহাঁটি করার জায়গার কথা বললেন তারেক রহমান

স্টাফ রিপোর্টার : আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি, আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি। চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। তেরশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?”
আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে, আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতা মত করে বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়ার কথা তুলে এসেছেন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের সময়।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করে লন্ডনের আবহাওয়া নিয়ে কথার প্রসঙ্গে তিনি এক সময় বলেন বগুড়ায় একটি হাঁটার জায়গা করেছি। এই হাঁটার জায়গাটিই হলো বগুড়া শহরতলীর শাকপালার মোড়। সড়ক ও জনপথের এই জায়গাটিতে পার্ক হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তারেক রহমান। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। পার্কে পুকুর সহ হাঁটার মাঝে জিড়িয়ে নেওয়ার জন্য বসানো হয় ছাতা ও বেঞ্চ। এছাড়াও পার্কে হাঁটার জন্য সিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
সেখানে একটি ফলকও ছিলো। পার্কটি নির্মাণের পর ওই এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের কাছে অল্প সময়ের মধ্যে বিনোদনের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়। প্রতিদিন সকাল বিকেল শত শত মানুষ পার্কে যান হাটতে। চারিদিকে গাছ গাছালীতে ভরা মনোরম পরিবেশের কারণে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা পার্কটির কথা প্রসঙ্গে উপস্থাপন করে বগুড়ার প্রতি যে আবেক তা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন বগুড়ার মানুষ।
কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি, আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি’। কবিতার এই চরণ গুলোর প্রতিটি শব্দের মতই তারেক রহমানের আবেক মিশে আছে বগুড়ার মাটি ও মানুষের সাথে। তাইতো সে সময় সারা দেশে এত উন্নয়ন করলেও তিনি প্রসঙ্গক্রমে বগুড়াকে টেনে এনেছেন।
আরও পড়ুনএদিকে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে শাকপালা ইন্টারসেকশনটি শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা মৌজার ৭.০৪ একর জমির উপর করা রয়েছে। আব্দুস সাত্তার নামে একজন মালি নিয়মিত এটি দেখভাল করতেন। তার অবসর গ্রহনের পর সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে লোক দিয়ে দেখভাল ও রক্ষনাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল মনসুর আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন অরক্ষিত ছিলো পার্কটি। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি এবং জেলা প্রশাসক পার্কটি পরিদর্শন করেছে। এটা নিয়ে কি করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে ফুটেজ নিয়ে আধুনিক কিছু করার প্রস্তবনা তৈরি করে পাঠানো হবে। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করম বাদশা বলেন, তিনি যখন লন্ডনে ছিলেন তখনও তাকে এ বিয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি যে কথা বলেছেন তা তার ভালোবাসা এবং আবেগে বগুড়ার প্রসঙ্গটি এনেছেন। তিনি বলেন আগামী দিনে বিএনপি যদি রাষ্ট্রপরিচালনা করার সুযোগ পান তবে ১৬ বছর যে সব এলাকা বঞ্চিত হয়েছে সেই সব এলাকারসহ সকল এলাকার সুষম উন্নয়ন হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ করবেন তিনি।
মন্তব্য করুন