ভিডিও রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

গাইবান্ধায় মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প সাড়া জাগাতে পারেনি

গাইবান্ধায় মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প সাড়া জাগাতে পারেনি

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্র্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে উৎসাহী মাশরুম চাষিদের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারেনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২০৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তির বরাদ্দকৃত গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রকল্প দু’টি সম্পন্ন করার সময় বেধে দেওয়া হলেও গাইবান্ধা সদরের নারায়ণপুরে বাস্তবায়নাধীন মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও সম্পন্ন হয়নি। অপরটি গাইবান্ধার চুনিয়াকান্দি মৌজায় প্রকল্পের স্থান নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখথুবড়ে পড়েছে।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসারের অনুকূলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রতিটি   স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত ঐ অর্থ যথাযথভাবে ব্যয়িত হয়নি। বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা সংশ্লিস্ট লোকজন কৌশলে হস্তমজুদ করেছে।

প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকুবেশন কক্ষ, চাষঘর, স্টেবিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষণের জন্য র‌্যাক, ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারী চালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হয়।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের সূত্রে জানা যায় প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকুবেশন কক্ষ ও তার অনুষঙ্গিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’ টাকা, চাষঘর ও তার অনুষঙ্গিক ব্যয় ১লাখ ৫৩ হাজার ৫শ’ টাকা, স্টেরিলাইজেসন কাম ইনোকুলেশন চেম্বারের অনুষঙ্গিক ব্যয় ৩০ হাজার টাকা , সাইনবোর্ড বাবদ ২ হাজার টাকা, মার্কেটিং এর ভ্যান ক্রয় বাবদ ৪৫ হাজার টাকা, সেটিং ও পরিবহন খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়ণপুর মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় উৎপাদক ও উদ্যেক্তা মোস্তফা কামালের কাছে জানা যায়। প্রদর্শনী প্রকল্পটি জুন ২০২৫ অর্থবছরে স্থাপন শেেেষ উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার ফলে প্রকল্প দুটির সুফল  অংকুরেই বিনষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর কারণ সম্পর্কে উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সঠিক সময়ে ইনকুবেশন কক্ষ নির্মাণ, চাষঘর তৈরি, স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায়  সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। উদ্যোক্তা মোস্তফা কামাল বরেন, তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে রংপুরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন কিন্তু উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা কর্তব্য পালনের কারণে প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়ম বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকুবেশনের জন্য এডজাস্ট ফ্যান, কুলিং প্যাড ও কন্টেইনার, ২টি পিভিসি দরজা, পানির পাম্প, ত্রিপল ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিস্টেম, সরবরাহ করা হয়নি সে সবের মূল্য প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা।

উদ্যেক্তা ও উৎপাদক মোস্তফা কামাল জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কারনে নারায়ণপুরের বিদ্যমান প্রকল্প ছাড়াও গাইবান্ধা সদরের চুনিয়া কান্দি মৌজায় বাস্তবায়নাধীন অপর উদ্যেক্তা ও উৎপাদক সাহিদা বেগম জানান ২৪-২৫ অর্থবছরে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের কোন উপকরণ আজও মেলেনি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে এখনও বিতরণ করা হয়নি ভিজিএফ এর ১৮ মে.টন চাল

দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখা বাগাতিপাড়ার ‘ইউএনও পার্ক’ এখনও খোলা হচ্ছে না

বগুড়ার সান্তাহারে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, চালক গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

বগুড়ার কাহালুতে পাহারাদারকে বেঁধে ট্রান্সফরমারের কয়েলসহ মিটার চুরি

বগুড়ার শেরপুরে বেড়েছে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই, আতঙ্কিত এলাকাবাসী