সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত যমুনার সামনে অবস্থানের ঘোষণা ‘তথ্য আপা’ কর্মীদের

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। রবিবার (১ জুন) তারা সেখানে অবস্থান নেন। এরইমধ্যে আন্দোলনকারীদের প্রধান সংগীতা আক্তারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈঠক চলছে। তবে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা যমুনার সামনে থেকে সরবেন না বলে জানান।
এর আগে, সকালে যমুনা অভিমুখে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তারা যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় লাঠিচার্জে কয়েক জন আহত হন বলে জানা গেছে। এছাড়া টানা অনশনে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থতার কারণে কারও কারও শরীরে স্যালাইন লাগানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের একজন খুরশীদা রহমান সাংবাদিককে বলেন, এর আগে আমাদের চার দফা দাবি থাকলে বর্তমানে আমরা দুই দফা দাবিতে রাজপথে রয়েছি। তথ্য আপা প্রকল্পে (দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মরত সব জনবলের জন্য পদ সৃষ্টি করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও কর্মরত জনবলের কেটে নেওয়া বেতন এবং অন্যান্য ভাতা পরিশোধের দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছি আমরা। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের চাকরি রাজস্বভুক্ত করার কথা বলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রতি মাসে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও কর্মচারীদের বেতন থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেটে নেয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণের কোনও অগ্রগতি না দেখে গত ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আমাদের আশ্বাস দেন। মাঝে তিন মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
আরও পড়ুনতথ্য আপা কর্মীদের ভাষ্যমতে, অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ প্রকল্পে যোগ দেন তারা। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (দশম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬ তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০ তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।
তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই আটটি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছেন দেড় হাজার কর্মী।
মন্তব্য করুন