ভিডিও সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

প্রতি ২০ মিনিটে গাজায় একটি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে : জাতিসংঘ

প্রতি ২০ মিনিটে গাজায় একটি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে : জাতিসংঘ,ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করার পর সেখানে ৫০ হাজারের বেশি শিশু নিহত বা আহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, এ উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার মাত্রা দিন দিন খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে।

ইউনিসেফ গত মঙ্গলবার এ বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার সবচেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছে শিশুরা। সেখানে প্রতি ২০ মিনিটে গড়ে একটি শিশু হয় নিহত, না হয় আহত হচ্ছে। ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘মারাত্মক লঙ্ঘন (আইনের)। অবরুদ্ধে ত্রাণ। ক্ষুধা। বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতাল-সব বিধ্বস্ত। এটা শৈশবকে ধ্বংস করা। জীবনেরই ধ্বংস। এরা শিশু-এরা সংখ্যা নয়। এভাবে কোনো শিশুর বেঁচে থাকার কথা নয়। আর একটি শিশুও নয়।’

বিবৃতিতে ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক এদুয়ার বেগবেদে বলেন, এই (গত) সপ্তাহান্তে ৭২ ঘণ্টায় দুটি ভয়াবহ হামলার চিত্র গাজায় শিশুদের ওপর নির্মম যুদ্ধের অমানবিক মূল্য আরেকবার স্পষ্ট করে তুলেছে। গাজায় গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৯টি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৩ হাজার ৭৩৮টি শিশু আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার আমরা ভিডিওতে দেখেছি, খান ইউনিসে আল-নাজ্জার পরিবারের পোড়া ও ছিন্নভিন্ন শিশুদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করা হচ্ছে। ১২ বছরের নিচে ১০ ভাইবোনের মধ্যে শুধু একটি বেঁচে আছে বলে জানা গেছে, তা-ও গুরুতর আহত অবস্থায়। সোমবার ভোরে আমরা গাজা সিটির একটি জ্বলন্ত স্কুলে আটকে পড়া এক ছোট শিশুর ছবি দেখেছি। ভোরের ওই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মধ্যে ১৮টি শিশু।’

আরও পড়ুন

‘এই শিশুরা, যাদের জীবন কখনোই শুধু সংখ্যায় রূপান্তরিত হওয়ার কথা নয়, তারাই এখন এক দীর্ঘ, বিভীষিকাময় তালিকার অংশ হয়ে গেছে। শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর (মানবাধিকার) লঙ্ঘন করা হচ্ছে, ত্রাণ অবরুদ্ধ, ক্ষুধা, বারবার জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি ঘটছে এবং হাসপাতাল, পানি সরবরাহব্যবস্থা, স্কুল ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত গাজা উপত্যকায় জীবনই ধ্বংস হয়েছে।’ 

‘ইউনিসেফ আবারও সংঘাতরত পক্ষগুলোকে সহিংসতা বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের—বিশেষ করে শিশুদের রক্ষা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানবিক আইনের প্রতি সম্মান দেখানো, মানবিক সহায়তা অবিলম্বে প্রবেশের (গাজায়) অনুমতি এবং সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। গাজায় শিশুদের নিরাপত্তা দরকার। তাদের দরকার খাদ্য, পানি ও ওষুধ। তাদের দরকার যুদ্ধবিরতি। কিন্তু এর চেয়েও বেশি দরকার-এই নৃশংসতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে এখনই সম্মিলিত পদক্ষেপ।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে ফিরছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নতুন রূপে

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করবে চীন

সমাবেশে নারীকে লাথি মারা সেই জামায়াতকর্মী গ্রেফতার

হোয়াইট ওয়াশ এড়াতে পাকিস্তানকে ১৯৭ রানের সহজ লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ইশরাকের শপথ সংক্রান্ত আদেশের কপি পেল ইসি

দুগ্ধজাত খাবার পুষ্টি নিশ্চিতের পাশাপাশি দৈহিক ও মানসিক বিকাশ করে- ডিসি হোসনা আফরোজা