কমেছে চাল ও ব্রয়লার মুরগির দাম, সবজিতেও স্বস্তি

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে খামারের মুরগির ডিমের দাম। সেইসঙ্গে কমেছে আদা, রসুন, চাল, মুরগি ও কিছু সবজির দাম। তবে আটা, ময়দা, তেল, ডাল, মাছ ও মাংস আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৩-৫ টাকা কমেছে চালের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খামারের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকা হালি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা থেকে হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, গাজর ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০-১৫০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙে আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, সজনে ৯০-১০০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০-৩৫ টাকা, পটোল ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৩০-৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৩০-৩৫ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০-১৫ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, আদা ১৪০-১৫০ টাকা থেকে কমে ১০০-১২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকা থেকে কমে ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কার্ডিনাল আলু ১৮-২০ টাকা এবং শিল, ঝাউ, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
টার্মিনাল বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিনুর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কমেছে। গত বছর এই সময় সবজির দাম যে হারে ছিল, সে তুলনায় এবার দাম কম আছে। বৃষ্টির আশঙ্কায় চাষিরা সবজি ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রি করছেন। এ কারণে সরবরাহ বেড়েছে। তবে যেসব সবজির ফলন কম সেগুলোর দাম বাড়তিই আছে।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৫০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা থেকে কমে ২২০-২৩০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২০০-২১০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড়ের মুরগি বিক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক দিন পর দাম এত কম হওয়ায় বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই খুশি।
আরও পড়ুনবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, ছোলাবুট ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ থেকে কমে ৪৫-৪৭ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা থেকে কমে ৫৩-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬৫-৭০ টাকা, বিআর২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭০-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা এবং নাজিরশাইলের দাম কমে ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের চাল বিক্রেতা আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে এখন নতুন ধানের চাল আসতে শুরু করেছে। এখন ভরা মৌসুম। এ কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রকারভেদে প্রতিকেজি চালের দাম ৩-৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।’
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্পিও ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন