বগুড়া নন্দীগ্রামে বেড়েছে কুরবানির পশু ‘ডনের’ দাম ১৮ লাখ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে কুরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় পদ্ধতিতে নানা জাতের ষাঁড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করা হয়েছে। এবার ঈদে দেশি পশু দিয়েই চাহিদা পূরণের আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে আলোচিত বগুড়ার ডন। ভরতেতুলিয়া গ্রামে প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য আর পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার এই গরু পালন করেছেন ব্যবসায়ী সেলিম সরদার। প্রায় একটন ওজনের তেজি ‘ডন’কে বের করতে কাটতে হবে গোয়ালঘরের দরজা। গোয়ালঘরে বেড়ে ওঠা গরুর পেছনে প্রতিদিন ব্যয় ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া খাদ্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন ন্যাচারাল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। শখ করে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে একটি মাত্র গরু কিনেছিলেন সেলিম সরদার। তিনি বলেন, শখের ডনের মূল্য নির্ধারণ করেছি ১৮ লাখ টাকা। আলোচনা সাপেক্ষেই বিক্রি করা হবে।
এদিকে, উপজেলার রণবাঘা স্কুলমাঠে বৃহত্তর কুরবানির পশুর হাট বসে। সপ্তাহের প্রত্যেক শুক্রবার এই হাটে অসংখ্য গরু-ছাগল নিয়ে আসেন খামারি, বেপারী ও কৃষকেরা। ঈদ ঘিরে সব দেশি প্রজাতির গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো দিয়েই উপজেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ দপ্তর সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুনউপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কল্পনা রানী রায় জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কুরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সুরক্ষায় প্রতিটি হাটে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম থাকবে।
মন্তব্য করুন