রংপুরে টানা বৃষ্টিতে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন পানির নিচে

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জমির ফসল। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি অফিসের দাবি, পানি দ্রুত নেমে গেলে আক্রান্ত জমির ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা তেমন নেই।
গত বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে দুইদিনে প্রায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুরের অনেক স্থানে এখনও পুরোপুরি ধানমাড়াই শেষ হয়নি। কেউ ধান কাটলেও ধানমাড়াই করতে পারেননি বৃষ্টির কারণে। ফলে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারো কারো ধান পানির নিচে। দুই একদিনের মধ্যে পানি না নেমে গেলে সেই সব ধান আর কাটা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ওইসব এলাকার কৃষক।
কৃষি বিভাগ এক ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছে, মে মাসের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখে সবচেয়ে কম পরিমাণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া থাকবে ধান কাটা ও মাড়াই করার জন্য। কৃষক ভাইদের পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে এই ৩দিনে আপনাদের জমিতে থাকা পাকা ধান কেটে মাড়াই করার জন্য।
আরও পড়ুনমিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে কয়েক হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেলেও পানি নেমে যাওয়া শুরু করায় ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে প্রায় ৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির মুখে রয়েছে। আমরা কৃষকের পাশে আছি, তাদের সকল ধরণের পরামর্শ প্রদান করছি। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে রংপুরের গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এতে করে ধান, বাদাম, কাউন, শাকসবজি, মরিচ ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা এই অঞ্চলের কৃষকরা। বিশেষ করে বাদামের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। শুধু ফসল নয়, টানা বৃষ্টিতে রংপুরের মাছ চাষিরাও পড়েছেন বড় বিপাকে। অনেকের পুকুর ভরে গেছে, পাড় ভেঙে ভেসে যাচ্ছে চাষ করা মাছ। মৌসুমের শুরুতেই এক রাতেই পানিতে ভেসে গেল তাদের স্বপ্ন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ফসল পানিতে নিমজ্জিত হওয়া মানে নষ্ট হয়ে যাওয়া নয়। যদি পানি এক সপ্তাহের মধ্যে সরে যায় তাহলে জমির ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া জমির পানি যদি পরিষ্কার হয় তাহলে তেমন চিন্তা নেই।
মন্তব্য করুন