ভিডিও শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা

নওগাঁয় ১২ হাজার কোটি টাকার গবাদি পশু বিক্রির আশা

নওগাঁয় ১২ হাজার কোটি টাকার গবাদি পশু বিক্রির আশা

নওগাঁ প্রতিনিধি : ঈদুল আজহার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে কোরবানির পশু। বর্তমানে কোরবানির সেই পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর ছোট-বড় খামারিরা। ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষণ করতে খামারিরা প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজাকরণ করেছেন গরু, ছাগল, ভেড়া, গারল ও মহিষ। খামারিদের বাঁচাতে বাইরের দেশ থেকে গরু আমদানি না করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন খামারিরা।

আসন্ন ঈদুল আযাহায় স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির আশা করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার ১১টি উপজেলার ছোট-বড় ৩৮ হাজার ৫৭৩টি খামারি তাদের গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন। স্পেশাল অফার হিসেবে অনেক খামারিরা ঈদের আগে ক্রেতাদের ক্রয় করা গরু বিনামূল্যে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সার্ভিস দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

আর ক্রেতারা বাড়তি ঝামেলা এড়াতে সেই অফার গ্রহণ করে খামারেই কোরবানির গরু কিনছেন। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৭টি। আর প্রস্তুত করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮হাজার ৩২০টি গবাদিপশু। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর বাড়তি গবাদিপশু চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারীরা সরাসরি এসে নওগাঁর বিভিন্ন পশুর হাট থেকে গবাদিপশু কিনে নিয়ে যায়। এবারের কোরবানির গরুগুলো খামারে ৫শ’-৫৫০টাকা দরে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, এবার স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর ৪ লক্ষাধিক গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে, যা জেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রির মাধ্যমে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা বিক্রির আশা করা হচ্ছে। এবার যেহেতু দেশের বাইরে থেকে কোন গবাদিপশু আমদানি করবে না সরকার, সেহেতু জেলার ছোট-বড় সকল শ্রেণির খামারিরা গবাদিপশুর ভালো একটা দামের মাধ্যমে লাভবান হতে পারবেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে যেন কোন ঝামেলা ছাড়াই সুন্দর পরিবেশে নওগাঁর হাটগুলো থেকে গবাদিপশু কিনতে পারেন সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে প্রাণিসম্পদ দপ্তরও একযোগে কাজ করছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, পশুর হাটকে কেন্দ্র করে জেলার কোন সড়ক কিংবা মহাসড়কে যেন কেউ কোন চাঁদা আদায় করতে না পারে সেই জন্য জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া জেলার প্রতিটি হাটের পরিবেশ সুন্দর রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি পোষাকধারী পুলিশের সাথে সাদা পোষাকধারী পুলিশ সদস্যরাও পশুর হাটে দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জেলার হাটগুলোতে যেন কেউ গবাদিপশুসহ সকল পণ্যের অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সারাবছরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে কোরবানির সময় কোন চক্র যেন কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে কোন ধরনের অরাজকতার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি হাটে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়েছে।

এই অভিযান আগামীতে আরো কঠোর করা হবে। কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রয় সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত সময়ের চেয়ে এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল সব সময় কাজ করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমের মৌসুমে ঘরেই তৈরি করুন ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস

মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে আলোচিত ঘটনার লম্বা মনির ও আলমগীর গ্রে ফ তা র | Daily Karatoa

ছেলের প’র’কী’য়া ঠেকাতে মা ফোন করে বিমানে বো মা: র‌্যাব | Daily Karatoa

'সুশীল সমাজ থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কীভাবে প্রস্তর যুগে ফিরে গেল?' | Inqilab Moncho | Daily Karatoa

সরকার কেন হত্যা নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, প্রশ্ন তারেক রহমানের

নেত্রকোনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা