ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বজ্রপাত : সমসাময়িক এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আতঙ্ক !

বজ্রপাত : সমসাময়িক এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ আতঙ্ক ! ছবি: দৈনিক করতোয়া ।

মানুষের শরীর বিদ্যুৎ পরিবাহি। এ কারণে মানুষের ওপর বজ্রপাত হয়। যদি কোনো খোলা স্থানে বজ্রপাত হওয়ার মতো কোনো বিদ্যুৎ পরিবাহি পদার্থ না থাকে আর সেখানে যদি মানুষ থাকে যার উচ্চতা অন্য বিদ্যুৎ পরিবাাহর চেয়ে বেশি, তাহলে মানুষের ওপর বজ্রপাত হয়। সরাসরি মাটিতে সাধারণত বজ্রপাত হয় না। বজ্র বিদ্যুৎ পরিবাহির ওপর পড়ে। এরপর ওই পরিবাহির মাধ্যমে বজ্রের বিদ্যুৎ মাটির সঙ্গে মিশে যায়। উঁচু গাছ, ভবন, পাহাড়ের শীর্ষে সাধারণত বজ্রপাত বেশি হয়। বজ্রপাত একটি আকস্মিক ঘটনা, যা প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন। যদি বজ্রপাত হয়ে যায় তাহলে অনেকের মৃত্যু হতে পারে। 

‘বজ্রপাত’ প্রকৃতির এক ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপ। এমন দৃশ্য মানুষের চোখে বছরের সব সময় দৃশ্যমান হয় না। শুধু বর্ষার আগমনে মৌসুমের শুরুতে মেঘের গর্জন হিসেবে পরিচিত ‘বজ্রপাত’ আমরা দেখতে পাই। মেঘের গর্জন আর আকাশে চোখ ধাঁধানো স্ফুলিঙ্গ জানান দেয় বৃষ্টি আসছে। শীতের শুষ্ক প্রকৃতি যখন রুক্ষ আচরণ করে ঠিক তখন মেঘের গর্জন দিয়ে বৃষ্টি আসে। ইদানীংকালে এই বজ্রপাত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ালেও অনেকের কাছে এটি বেশ উপভোগ্য। পৃথিবীকে হঠাৎ আলোকিত করে ঘন কালো মেঘে ঢেকে যাওয়া আকাশে বজ্র যে ডাক দেয় তা শুনে চমকে উঠে মুচকি হেসে দেন অনেকেই। বাংলাদেশের নব্বই শতকের সিনেমায় নায়ক নায়িকার রোমঞ্চের দৃশ্য অকপটে বোঝাতে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির দৃশ্যের কথাও মনে থাকার কথা আমাদের। 

বগুড়ায় চলতি মাসে সারিয়াকান্দিতে দুই জেলে সহোদর বজ্রপাতে প্রাণ হারান। জেলার কাহালুতে আরেক শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। নব্বই দশকের আগেও বজ্রপাতে মৃত্যু অনেকটা কালেভদ্রে ঘটতো। মানুষ আতঙ্কিত থাকতো না, সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের প্রতিকার, প্রতিরোধ সম্ভব নয় । পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও সে তথ্য অনুযায়ী স্বাভাবিক কার্যক্রমে মানুষ অভ্যস্থ নন। বৃষ্টির পূর্বাভাসে ছাতা নিয়ে প্রতিকার, প্রতিরোধ সম্ভব কিন্তু প্রাকৃতিক এই বজ্রপাত দুর্যোগটি কেবলমাত্র সচেতন থাকা ছাড়া মানুষের আসলেই কিছু করার নেই।

এছাড়াও নিকট অতীতের স্মরণীয় একটি ঘটনা আমাদের মনে থাকার কথা। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার পদ্মা নদীর পাড়ের একটি ঘাটের ঘরে বিয়ের অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা এলাকায় যাওয়ার সময় বজ্রপাতে পাঁচজন মহিলাসহ ১৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে তারা ঘাটেই একটি টিনের দোচালা ঘরে আশ্রয় নেন এবং ঘরেই তাদের মৃত্যু হয়। তখন বজ্রপাতের এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাছাড়া, এলাকাবাসী বজ্রপাতে নিহতদের লাশ চুরি ঠেকাতে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে রড, সিমেন্ট দিয়ে কবর বাঁধাইয়ের কাজে নেমে পড়েছিলেন। 

একই বছর এপ্রিল মাসে সুনামগঞ্জের চারটি উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে চার কৃষকের মৃত্যু হয়। আরও পেছনে তাকালে ২০১৬ সালের মে মাসের ভয়াবহ ঘটনা আমাদের স্মরণে আসে, যখন মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে বজ্রপাতে ৮১ জন প্রাণ হারান।

বজ্রপাতে কারও মৃত্যু হলে সেই মরদেহ মহামূল্যবান এক বস্তুতে পরিণত হয়। এমন ধারণা থেকে দেশে প্রায়ই বজ্রপাতে নিহতদের লাশ চুরির ঘটনা ঘটে এবং সেই আশঙ্কা থেকেই গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে। তবে ঘটনা যাই হোক, বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে প্রাণহাণির ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায়ই এ ধরনের মৃত্যুর খবর শোনা যায়। ২০২১ সালে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত চার মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে আহত হন অন্তত ৪৭ জন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও চট্টগ্রামে বজ্রাঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম হটস্পট হিসেবে ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ চিহ্নিত হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি গঠনগতভাবেই একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ, যেখানে প্রতিবছর নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদীভাঙনের মতো দুর্যোগগুলোর পাশাপাশি একটি অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত কিন্তু মারাত্মক দুর্যোগ হলো বজ্রপাত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রাকৃতিক ঘটনার পরিমাণ ও তীব্রতা যে হারে বাড়ছে, তা এখন আর উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বরফ গলন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে, তেমনি বজ্রপাতের ঘটনাও বাড়িয়ে তুলছে।

বজ্রপাতের প্রভাব এখন এতটাই মারাত্মক যে, এটি অনেক সময় ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো তাৎক্ষণিক প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে খোলা মাঠে কৃষিকাজ করা শ্রমজীবী মানুষ, নদী বা জলাশয়ে মাছ ধরতে থাকা জেলেরা, শিক্ষার্থী কিংবা শিশু-কিশোরেরা প্রায়ই এর শিকার হচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র বজ্রপাতেই বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৬ সালে সরকার বজ্রপাতকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা এর গুরুত্ব ও হুমকি নির্দেশ করে।

প্রতিবছর সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বজ্রপাত একটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতের সংখ্যা ও তীব্রতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলের খোলা মাঠ, কৃষিকাজের সময়, অথবা নিরাপত্তাহীন অবস্থানে অবস্থানরত মানুষ প্রায়শই এর শিকার হন। অনেক সময় বৃষ্টি ছাড়াও কেবলমাত্র বজ্রপাত হতে দেখা যাচ্ছে। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বজ্রপাত বেশি হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্চ-এপ্রিলেও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে, যা আগে দেখা যায়নি। 

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বজ্রপাতের কারণে বছরে শতশত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এবং বহু মানুষ আহত হচ্ছেন। এটি শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সংকটও। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গ্রীনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণে মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন এসেছে, যার সঙ্গে বজ্রপাতের ঘনত্বের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

প্রতিরোধ ও করণীয়

বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই রোধযোগ্য। প্রথমেই দরকার সচেতনতা। মানুষকে জানতে হবে বজ্রপাতের সময় কী করতে হবে এবং কী করা যাবে না।

আরও পড়ুন

উদাহরণস্বরূপ 

বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, উঁচু গাছের নিচ, টিনের চালা, ধাতব বস্তু এবং বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়ির ভিতরে অবস্থান করা সবচেয়ে নিরাপদ। বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানতে রেডিও, টিভি বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন বা কানে হেডফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ থাকলেও জনসচেতনতা এবং প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো খুব দুর্বল। বজ্রপাতের সময় কী করণীয় এবং কী বর্জনীয়, সেই সম্পর্কে গ্রামের সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ ও তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা যেমন ‘লাইটনিং অ্যারেস্টর’ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও জনসমাগমস্থলে স্থাপন করা উচিত। বজ্রপাত ঠেকানো না গেলেও এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য দরকার বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা, প্রয়োগযোগ্য নীতিমালা এবং সর্বোপরি জনগণের অংশগ্রহণ। জীবনের অমূল্য, আর একটি সঠিক সিদ্ধান্ত অসংখ্য প্রাণ বাঁচাতে পারে।

রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব
এই দুর্যোগ প্রতিরোধে সরকারের দায়িত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জনগণের সচেতনতাও জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বজ্রপাত সম্পর্কিত সচেতনতামূলক সেশন চালু করা যেতে পারে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বজ্র নিরোধক প্রযুক্তি গবেষণায় বিনিয়োগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে তা প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। গণমাধ্যমে তথ্যভিত্তিক প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালানো প্রয়োজন। 

পরিশেষে
বজ্রপাতে মৃত্যু ও হতাহত এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সেগুলো হলো-
 ১. বজ্রঝড় সাধারণত ৩০-৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতিজরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেবে। 
২. বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
৩. বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ভবন বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।
 ৪. বজ্রপাতের সময় যেকোনো ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে, ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে। 
৫. খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকবেন না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক। 
৬. বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়া উচিত নয়। সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। 
৭. যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ রাখা যাবে না।
 ৮. বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু স্থানে অবস্থান করলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। মৌসুমে ঘন কালো (ঝড়মেঘ) মেঘ দেখলেই সাবধান হতে হবে এবং বৃষ্টি শুরুর আগে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
 ৯. পায়ে রাবারের স্যান্ডেল পরে থাকা এবং পানি ও যে কোনো ধাতব বস্তুর যেমন সিঁড়ির বা বারান্দার রেলিং, পানির কল ইত্যাদির স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে। 
১০. বিদ্যুৎ পরিবাহী যে কোনো বস্তুর স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। পুকুর বা জলাশয়ে থাকা নিরাপদ নয়। 
১১. বজ্রপাতে বাড়ির ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র যেগুলো ইলেকট্রিক সংযোগ বা ডিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা ভালো। 

বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা বৈদ্যুতিক শকে আহত ব্যক্তিদের মতো। শরীর থেকে দ্রুত বৈদ্যুতিক চার্জ অপসারণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শরীরে ম্যাসাজ করতে হবে। আহত ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচরণে বিচলিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই ও বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তাল গাছ জাতীয় সুউচ্চ প্রজাতির গাছ প্রচুর পরিমাণে খালি জায়গা বা মাঠের মধ্যে লাগাতে হবে।

প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের মানুষ এখনো প্রাচীন কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। এটি আমাদের জন্য একটি লজ্জাজনক বাস্তবতা। বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ, জনসচেতনতা, সরকারি বিনিয়োগ এবং সামাজিক দায়িত্বের সমন্বয়ে আমরা বজ্রপাতজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে পারি। আর এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার-প্রতিটি জীবনই মূল্যবান এবং প্রতিটি জীবন বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব। 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম কারাগারে কেএনএফ সদস্যের মৃত্যু

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

মিমের অন্যরকম সময়

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ-বিক্রি নিষিদ্ধ

বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে আ’লীগ নেতার রুমে তালা