জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামবাসীর পাহারা

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : ক্ষেতলালে রাতের ঘুম হারাম করে চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে রাতভর পাহারা বসিয়েছেন গ্রামবাসী। নিজেদের বাসা-বাড়িতে চুরি, ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা করতে গভীররাত পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের বাসা-বাড়ীসহ হাট-বাজারের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়তই চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। চোরেরা রাতের অন্ধকারে সংঘবদ্ধভাবে তাদের টার্গেট করা বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কৌশলে ঢুকে গরু-বাছুরসহ সাংসারিক কাজের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও যন্ত্রাংশ চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েক দিন আগেও উপজেলার দক্ষিণ বস্তা (বাঁশোতা) গ্রামে প্রবাসী আব্দুল হান্নানের বাড়িতে চোরেরা ঢুকে টাকা, সোনা, গহনাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া আলমপুর গ্রামে মিলু মিয়ার বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে মূল গেটের তালা কেটে গোয়ালঘর থেকে আট লাখ টাকা মূল্যের ৪টি গাভী গরু চুরি করে পালিয়ে যায়।
একই গ্রামের আজিজার রহমানের বাড়িতে সন্ধ্যারাতে চোরেরা ঢুকে টাকা, সোনা, গহনা চুরি করে চোরেরা। আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ইদ্রিস আলী খাঁ’র দোকান ঘরে চোরেরা প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামালসহ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফসলের মাঠ থেকে বৈদ্যুতিক মিটার, ট্রান্সফরমারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি নিত্যদিনের ঘটনা।
আরও পড়ুনউপজেলার আলমপুর ইউ,পি সদস্য ও ওই গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, গ্রামে চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতাসহ গ্রামবাসীকে নিয়ে প্রতি রাতে প্রতিটি পাড়ায় পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুরি ঠেকাতে গ্রামবাসী পাহারা অব্যাহত রাখলে আশা করি কিছুটা হলেও চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদসহ হাট-বাজার ও জনসমাগম স্থানে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। প্রত্যেক গ্রামে চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে গ্রামবাসীর উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করা হলে আশা করি চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সেইসাথে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানোসহ চোর চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন