ভিডিও সোমবার, ১২ মে ২০২৫

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা

বুদ্ধ পূর্ণিমায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’আজ রোববার (১১ মে) এক ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পূন্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদ্যাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন মহামানব গৌতম বুদ্ধ। বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমাতেই মহামানব বুদ্ধের জীবনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলেই ঐদিনটি বৌদ্ধ পূর্ণিমা নামে খ্যাত। বুদ্ধ পূর্ণিমাতেই তাঁর জন্ম, বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। অহমের মাত্রাকে অতিক্রম করে তিনি অসীম জ্ঞান লাভ করেন। আমি আজ এই শুভ দিনে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে জানাচ্ছি শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা এবং উষ্ণ অভিনন্দন, সঙ্গে সঙ্গে আমি বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়কেও জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

মহামানবদের বাণী কালের সীমা অতিক্রম করে বিভ্রান্ত মানুষকে সত্যের পথ দেখায়, কল্যাণের পথে যেতে প্রেরণা জোগায়। শোক, সংকট ও ভ্রান্তির আবর্তকে অতিক্রম করে সত্য ও মানব অধিকারের পথে মানুষকে আহ্বান করে। মহামানব বুদ্ধ ছিলেন অহিংস, ন্যায় ও সাম্যনীতির এক চিরকালীন কণ্ঠস্বর। তাঁর অনুশাসনও ছিল আত্মজয় ও আত্মপ্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাঁর সমবেদনা আলোকিত শিক্ষার প্রতিফলন।’তারেক রহমান আরও লেখেন, ‘তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করে মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণী রূপেই জানতেন এবং সব প্রাণসত্তার মধ্যেই যে কষ্টবোধ আছে তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন। মানুষ নিজের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও আলোর পথপ্রাপ্ত হয় মহামতি বুদ্ধের জ্ঞানের বাণীতে। তিনি প্রচলিত জাতিভেদ প্রথা বিলুপ্ত করেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের নিকট সাম্য ও মুক্তির বাণী তুলে ধরে জগতে এক নূতন ধর্মাদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের মর্যাদা চিহ্নিত হবে কর্মে এবং যোগ্যতায়; জন্ম বা বংশ মর্যাদা দিয়ে নয়। ধর্ম প্রচারের প্রথম থেকেই তিনি এভাবে মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় নিবেদিত হন।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেখেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বোধ লালন করেন আবহমানকাল থেকে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীকে এক নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে। সহাবস্থান ও সম্প্রীতি এ জাতির এক সুমহান ঐতিহ্য। আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক অভিন্ন জাতি। আমরা সবাই বাংলাদেশি। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’

আরও পড়ুন

‘আমি বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোমবার ৬ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে গরম

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে ধান কাটামাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষান কৃষাণীরা

বগুড়ার ধুনট থানার পাশেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি

পাবনার চাটমোহরে আমগাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল দিনমজুর ইসরাইলের 

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুলিশের অভিযানে দুইজন গ্রেফতার