ভিডিও রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

সৈয়দপুরের শিউলী বেগম উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর

সৈয়দপুরের শিউলী বেগম উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শিউলী বেগম। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নারী উদ্যোক্তা তৈরির কাজও করছেন। নিজেদের তৈরি পণ্য বাজারজাত করে নারীরা যেন স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন, এ লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা নারীদের তিনি তুলে আনেন।

এরপর তাদের তৈরি পণ্য অনলাইনে কিংবা অফলাইনে বাজারজাত করেন। এ জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন ‘সৈয়দপুর ওমেন্স ই-কমার্স ফোরাম’ নামের একটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত তিনি পিছিয়ে পড়া ৫০ নারীকে স্বাবলম্বী করেছেন।

এ ছাড়া এসব উদ্যোক্তার তৈরি পণ্য নিয়ে তিনি নিয়মিত মেলার আয়োজন করে যাচ্ছেন। 
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের নয়াটোলা মহল্লার বাসিন্দা শিউলী বেগম জানান, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন। এর মাধ্যমে তারা সমাজের মূল ধারায় নিজেদের যুক্ত করতে পারছেন। এটা বেশ ভালো কথা। সুবিধাবঞ্চিত ওই নারীদের জন্য তিনি তার বাসায় গড়ে তুলেছেন একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে তিনি নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গত তিন বছরে তিনি ৫০ জন নারীকে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তারা তৈরি করছেন পুঁতির ভ্যানিটি ব্যাগ, ফুল, ওয়ালমেট, শোপিস। এ ছাড়া পাপোশের পাশাপাশি তারা কুশিকাটা দিয়ে বিভিন্ন রকম পোশাক তৈরি করছেন। স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানেও রয়েছে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। নারীদের তৈরি পণ্যগুলো ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে ইতোমধ্যে শিউলী বেগম সৈয়দপুরে কয়েকটি মেলার আয়োজন করেছেন। নারীদের এগিয়ে নিতে তিনি এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় নারী উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা। যেখানে ৬০ জনের বেশি নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। শিউলী বলেন, ‘আমাদের সৈয়দপুরের নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজে পণ্য তৈরি করছেন। আবার কেউ অনলাইনে কাপড় বিক্রি করছেন। এসব পণ্য বিক্রি করে তারা ঘরে বসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। তারা সবই করছেন নিজের শক্তিবলে। আমি শুধু পথ দেখিয়ে দিচ্ছি।

শিউলী বেগমের সঙ্গে কাজ করেন শহরের নয়া বাবুপাড়ার সিফাত এনাম। তিনি এখন অনলাইনে পোশাক বিক্রির বড় একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন। সিফাত বলেন, ‘আগে বেকার ছিলাম। কোনো কিছুই জানতাম না। শিউলী আপা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এখন আমি অনলাইনে মেয়েদের পোশাক সরবরাহ করি। অনেক অর্ডার পাচ্ছি।’ নতুন বাবুপাড়ার কাকুলী খাতুন কুশিকাটা দিয়ে তৈরি করেন বিভিন্ন পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে টেবিলক্লথ, বিছানার চাদর, নারীদের কটিসহ অন্যান্য জিনিস। এসব বিক্রি করে তিনি মাসে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন। একইভাবে মুন্সিপাড়ার বিথি, নয়াটোলা মহল্লার চাঁদনী, কয়ানিজপাড়ার তামান্নাসহ আরও অনেক নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ তৈরি করেন পাপোশ। কেউ তৈরি করেন পোশাক। কেউবা তৈরি করেন হরেক রকম পিঠা। আর এই উদ্যোক্তাদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে বাজারজাতকরণের পথ দেখান সৈয়দপুর ওমেন্স ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা শিউলী বেগম।

আরও পড়ুন

 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পল্টনে সাব্বির টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

একদিন পেছালো খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা

দিনাজপুরের বিরলে ২২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

বগুড়ার ধুনটে জমিতে বিষ দিয়ে ফসল নষ্টের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে জমে উঠেছে ধান কাটা শ্রমিকের হাট

নেটপ্রো মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি