অনুমোদন না পাওয়ায় সব কিছুর পরও বনানী-মাটিডালী সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছেনা

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে বগুড়া শহরের বনানী থেকে মাটিডালী পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা সংস্কার কাজের দরপত্র দাখিল হলেও ঠিকাদার নির্বাচন ও কার্যাদেশ না হওয়ায় বগুড়াবাসী হতাশ। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বগুড়া শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে বনানী থেকে মাটিডালী এবং সাতমাথা থেকে তিনমাথা পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়।
এই সড়কটি সেই সময় সম্প্রসারণ করার পর বগুড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আসে। সে সময় সড়কটি সম্প্রসারণ করার পর থেকে তেমন কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে রাস্তাটির কোন কোন অংশে ইট দিয়ে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে বড়গোলা, ঠনঠনিয়া (তাজমার সামনে), সরকারি মহিলা কলেজের সামনে রাস্তায় পানি জমে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। এসব স্থানে দীর্ঘদিন কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি।
গত বছর এই সড়কটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়ে জরুরী সংস্কার কাজ হিসেবে গণ্য করে বনানী থেকে মাটিডালী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ৬৭০ মিটার রাস্তায় খনন, কাটা, ক্ষত চিহ্নিত করে উপরিভাগ বিটুমিনাস লেয়ার দেওয়া কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র আহবানের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র খোলা হয়।
চলতি অর্থ বছরের এই কাজটি করতে সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও কেবল মাত্র অনুমোদন না পাওয়ায় কাজটি করা সম্ভব হচ্ছেনা। চলতি শুস্ক মৌসুম শেষে বর্ষা মৌসুমের আগমন হতে যাচ্ছে, তার পরও এই কাজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরব রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই কাজটি করতে না পারলে তা টেকসই হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুনবগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকার বাবলু হাজী জানান, তিনি শুনেছেন তার বাড়ির সামনে যে রাস্তা তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। কিন্তু শুস্ক মৌসুম শেষ হতে চললেও কাজ না হওয়ায় তিনি হতাশ। তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে কাজ করা হলে সেই কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। শুস্ক মৌসুমে কাজ হলে কাজটি টেকসই হবে। একারণে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করা উচিৎ।
বগুড়া সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই কাজটি সাধারণ বিটুমিনের কাজ হবে না। পলিমার বিটুমিন দ্বারা বিটুমিনাস ওয়ারিং কোর্স করা হবে। যা সাধারণ বিটুমিনের কাজের চেয়ে টেকসই হবে। এবং সাধারণ বিটুমিনের কাজ পানিতে যে পরিমাণে ক্ষতি হয় সে রকম ক্ষতি হবে না। এই রাস্তার বড়গোলা ও ঠনঠনিয়া (তাজমার সামনে) রি-জিট পেভমেন্ট (ঢালাই কাজ) হবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল মনসুর আহম্মেদ জানান, এই কাজটি টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে রয়েছে সকল প্রক্রিয়া করে পাঠানো হয়েছে। টিকাদারের প্যানেল করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন