বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : প্রধান শিক্ষক নেই তবুও চালাতে হচ্ছে বিদ্যালয়। এমন বাস্তবতায় টিকে আছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থায়ী প্রধান শিক্ষক না থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষকরাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ১০৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৫৬ টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কাজ চালানো হচ্ছে। পাঠদান, দাপ্তরিক কাজ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের ছোট-বড় সব কাজ এখন সামলাচ্ছেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষকরা।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) হাফিজুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় সব দায়িত্ব আমাদেরই সামলাতে হচ্ছে। ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তাদের অভাবে সব কিছু বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি, কিন্তু সেটি আমাদের নিয়মিত কাজের বাইরের দায়িত্ব। এতে আমরা যেমন চাপের মধ্যে, তেমনি শিক্ষার্থীরাও সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগ সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালনো হচ্ছে।
আরও পড়ুনএতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসে দৌড় ঝাপেই সময় পার হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারছে না তারা। ফলে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এতে করে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষায়। শিক্ষাব্যবস্থার এই সংকট নিরসনে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম সারওয়ার জাহান বলেন, ইতোমধ্যে ওই সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠনো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় মোট ১০৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। এরমধ্যে ৫৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
মন্তব্য করুন