কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর বুড়িরহাট ক্রসবাঁধ ঈদ আনন্দে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর বুড়িরহাট অংশে নির্মিত ক্রসবাঁধটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। উপজেলার ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ক্রসবাঁধ এলাকা। এখানে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির হিমেল হাওয়া, চর গুলোতে সবুজের সমারোহ এবং দূরের বসত বাড়ি গুলোকে ছবির মতো মনে হয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে বিশেষ করে তরুণ তরুণী ও নবদম্পতিদের মিলন মেলা বসে এখানে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল ফিতর এর দিন থেকে বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে তিস্তা পারের বুড়িরহাট এলাকা। ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কারণে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। অনেকেই নৌকায় চড়ে নদীর বুকে ও অদূরের চরসমূহে ঘুরছেন আপন মনে। পাশের জেলা রংপুর ও লালমনিরহাট থেকেও সকাল থেকে অনেকে আসেন এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য, বিকেল হলেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে।
কথা হয় ঘুরতে আসা একাধিক নবদম্পতির সাথে। তারা জানান, এলাকাটি প্রকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। আশে পাশে সে রকম কোন পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় ভ্রমণ পিপাসুরা এখানেই ছুটে আসেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ক্রসবাঁধের অবকাঠামোর উন্নয়ন করলে যেমন দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তেমনি সরকারের এখান থেকে রাজস্ব আয়ের সম্ভবনা সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুনএখানেই ভিড় জমে ক্রসবাঁধ এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক দোকান, বিশেষ করে ফাষ্টফুড, ঝাঁল চানাচুর মুড়ি, ফুচকা, বাদাম ইত্যাদি মুখরোচক খাবার বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় ফুচকা বিক্রেতা হালিম বলেন, সব সময় এখানে দোকান নিয়ে আসি, ঈদের দিন থেকে বেঁচা-কেনা খুব ভালো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল ইমরান জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ক্রসবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি, এখানকার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে। সৌন্দর্য বর্ধনের সম্ভবনা যাচাই করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন