বিকাশে টাকা না দিলে মিটার চুরির হুমকি
বগুড়ার আদমদীঘিতে ইরি-বোরো স্ক্রিমে সেচ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় সেচ প্রকল্পের গভীর নলকূপের ম্যানেজারের কাছে বিকাশে টাকা দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে মিটার চুরির হুমকি দেওয়া হয়েছে। মিটার চোরচক্রের ভয়ে ইরি-বোরা স্ক্রিমে নিরবিছিন্ন পানি সেচ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে চলতি ইরিবোরা স্ক্রিমে পল্লী বিদ্যুৎ ও নেসকো’র আওতায় বিভিন্ন মাঠে গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচ দেয়া হচ্ছে। এসব সেচ প্রকল্পের পল্লী বিদ্যুতের আওতায় গত ২০২৪ সালে একটি চোরচক্র বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে না পেয়ে প্রায় দুইশ পল্লী বিদ্যুতের গভীর নলকূপের মিটার ও বেশকিছু বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। অনেকে বিকাশে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পান।
এসব ঘটনায় নিরবিছিন্ন সেচ সুবিধা বিঘ্নিত হয়। সেসময় প্রশাসন চোরচক্রদের শনাক্ত কিংবা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। চলতি বছর ইরি-বোরো চাষ শুরুতেই গত বছরের মতো এবারও চোরচক্র উপজেলার চাঁপাপুর, চকবাড়িয়া, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ গোবিন্দপুর, কয়াকুঞ্চি, বড়িয়াবার্তা, বিহিগ্রাম ঝাকইর, বনতইর, হাউসপুর, নসরতপুর, কুন্দগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় স্থাপিত ইরি স্ক্রিমের ম্যানেজারসহ সেচ রক্ষণাবেক্ষণকারীদের কাছে আগাম মোবাইল ফোন করে বিকাশে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবির টাকা দেওয়া না হলে মিটার চুরি করে টাকা আদায় করা হবে বলে চোরচক্রটি হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুনভুক্তভোগীরা জানান, তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে ফোন দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মিটার চুরির ভয়ে রাত জেগে মিটার পাহারা দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে মিটার চুরির ভয়ে গভীর নলকূপের কয়েক জন ম্যানেজার চোরচক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়েছেন। তারা ইরি-বোরো স্ক্রিমে মিটার চোর শনাক্ত ও তাদের গ্রেফতার করে নিরবিছিন্ন সেচ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মন্তব্য করুন