ভিডিও রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

বগুড়ায় সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ায় সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যা। প্রতীকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের অদূরে সাবগ্রামে সাবেক স্ত্রী ছকিনা বেগম (৩৫) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৮) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সখিনার স্বামী রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া সাবগ্রাম দক্ষিনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা এ ঘটনার জন্য ছকিনার দ্বিতীয় স্বামী রুবেল মিয়াকে দায়ী করেছেন। বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত ছকিনা বেগমের স্বজনরা জানান, প্রায় ৬ বছর আগে  সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সাথে ছকিনার দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে সাথে নিয়ে বগুড়া সদরের আকাশ তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সাথে জড়িত থাকায় ছকিনা সম্প্রতি তাকে তালাক দেয়। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রায় এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যায়। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ৬ মাস আগে আবারও দুইজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

এদিকে মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিন পাড়ায় দুই শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের বাড়ি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। একমাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করে। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার উপর ক্ষুদ্ধ হয়।

আরও পড়ুন

ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানায়, গতকাল শুক্রবার  রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রুবেল বাড়িতে গিয়ে ছকিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় সাথে নিয়ে আসা রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এ সময় আনোয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রুবেল পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ছকিনার মা আনোয়ারা   বেগমও মারা যান।

বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল বাড়ির পার্শ্বের বাঁশ ঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদা উদ্ধার করেছে। পালিয়ে যাওয়া রুবেলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মঈনউদ্দীন জানান, মা মেয়ের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর থানায় কোন মামলা হয়নি। নিকট আত্মীয় না আসায় মামলা হয়নি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ

বগুড়ার আদমদীঘিতে এতিমদের সম্পত্তি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ

পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সরকারি গাছ কেটে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

খামারি ও গো-খাদ্যের দামের কথা চিন্তা করে দুধের দাম বাড়ানো হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার