ভিডিও রবিবার, ১১ মে ২০২৫

বগুড়ার শাজাহানপুরে গত বছরের চেয়ে ভূট্টা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ

বগুড়ার শাজাহানপুরে গত বছরের চেয়ে ভূট্টা চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : গতানুগতিক ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় বগুড়ার শাজাহানপুরে ভূট্টার চাষ বেড়েছে দ্বিগুণ। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত বছর শাজাহানপুর উপজেলায় ৫শ’ ৬০ হেক্টর ভূট্টার চাষ হয়েছিল। ভূট্টা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় হু হু করে বাড়ছে ভূট্টার চাষ। চলতি বছর এ উপজেলায় ভূট্টার চাষ হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৫ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিন দেখা গেছে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেই কম বেশি ভূট্টার চাষ হয়েছে। তবে আমরুল, আড়িয়া ও চোপীনগর ইউনিয়নে ভূট্টার চাষ তুলনামূলক বেশি হয়েছে। চোপীনগর ইউনিয়ের বড়পাথার মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম (৪৮) জানান, ভেবরার তাইড় এলাকায় তাদের ১০ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে।

বিগত দিনে সম্পূর্ণ জমিতে ধান চাষ করতেন। কিন্তু ভূট্টা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় তারা এবছর উক্ত ১০ বিঘা জমির মধ্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। তিনি আরও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে ১০ হাজাহার টাকা খরচ হয়। সেচ স্কীমের ভাগ দেওয়ার পর ধান পাওয়া যায় ১৬ থেকে ১৮ মন। খরচ বাদে লাভ থাকে বিঘা প্রতি ৬-৮ হাজার টাকা। অপরদিকে ভূট্টা চাষে প্রতি বিঘায় ধান চাষের মতোই ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া যায় ৩৫-৪০ মণ। যার বাজার মূল্য ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন

খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের লাভ থাকে ২৫-৩০ হাজার টাকা। শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ৪ বছর আগেও ভূট্টা শুধু রবি মৌসুমে চাষ হতো। কিন্তু গতানুগতি ফসলের চেয়ে ভূট্টা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় এখন প্রায় সারা বছরই ভূট্টা চাষ হচ্ছে।

শাজাহানপুরের কৃষকরা ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, মুরগি, মাছ ও গবাদি পশুর খাবার তৈরি, বেকারি সামগ্রী তৈরিসহ ভূট্টার নানামুখী ব্যবহার বেড়েই চলেছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকো আজ, লড়াই শিরোপারও

নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

পারিবারিক আবহে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া

গাজায় একদিনে আরও ২৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

লা লিগায় দ্রুততম হ্যাটট্রিকে সরলথের ইতিহাস

নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না : ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি