বগুড়ার আদমদীঘিতে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি উপজেলার মাঠে যে দিকে চোখ যায় সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। মাঘের হিমেল বাতাসে দোল খেয়ে, শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো মাঠ জুড়ে কেবল চোখে পড়ছে হলুদের সমাহার। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য। উপজেলার বিস্তির্ণ মাঠে সরিষা হলুদ ফুলের মৌ মৌ গন্ধে পথচারীদের মুগ্ধ করছে। যেন প্রকৃতি কন্যা সেজেছে হলুদ বরণ সাজে। কিছু কিছু মাঠে মৌমাছি চাষীরা ক্যাম্পিং করে মধু সংগ্রহ শুরু করেছেন।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন মিলে আবাদি জমির পরিমান ১২ হাজার ২০০ হেক্টর। এরমধ্যে চলতি রবিশষ্য মৌসুমে ৮ হাজার ৭২২ হেক্টর জমিতে আলু সরিষা গমসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এবার সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
কৃষি অফিসের সরিষা চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও তা অতিক্রম করে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হচ্ছে বলে সরিষা চাষী কৃষকরা জানান। উপজেলার সমগ্র মাঠে জুড়ে শুধু সরিষা আর সরিষার আবাদ। বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সরিষা ফুলে মৌমৌ গন্ধে অপরুপ সোভা ছড়াচ্ছে। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছিদের আগমনে ফুলে পরাগায়ন করছে। কৃষিবিদদের মতে মৌমাছিদের পরাগায়নের ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনকিছু কিছু মাঠে মৌচাষীরা ক্যাম্পিং করে মধু সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। চাঁপাপুর ইউপির চকবাড়িয়া গ্রামের সরিষা চাষী কামাল হোসেন জানায়, সরিষা চাষে রাসায়নিক সার, সেচ ও অন্যান্য খরচ কম লাগায় ও সরিষা তেল ও খৈলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। সিংগাহার গ্রামের সরিষা চাষী শাহাজান আলী জানান, তিনি গত বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেন।
এবার ৪ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এই আবাদ উঠার পর একই জমিতে ইরি বোরো ধান লাগাবেন তিনি। কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, এবার সরিষার আবাদে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, সরিষা আবাদে রোগবালাই কম হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারও সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন