ভিডিও মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০১ রাত

বগুড়ার সোনাতলায় দু’টি খাদ্যগুদামে এক ছটাক ধান কিনতে পারেনি!

বগুড়ার সোনাতলায় দু’টি খাদ্যগুদামে এক ছটাক ধান কিনতে পারেনি!

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় দু’টি খাদ্যগুদামে ধান কেনায় কৃষকের সাড়া মিলছে না। এতে করে সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। চলতি আমন মৌসুমে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় ওই উপজেলার কৃষকেরা সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনিহা দেখাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আমন মৌসুমে বগুড়ার সোনাতলায় দু’টি খাদ্যগুদামে ৬৬৯ টন ধান এবং ৯৯৪ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রতিকেজি চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা এবং প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ টাকা। অথচ বাজারে চাল অনুযায়ী প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে  খোলা বাজারে ধান প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়ারের চেয়ে সরকারি দাম কম হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান চাল সংগ্রহে কোন সাড়া মিলছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে এ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত সোনাতলা কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম ও হরিখালী খাদ্যগুদামে কোন কৃষক ধান বিক্রি করেননি।

এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকার মোকারম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, শহিদ গোলাম, রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। পাশাপাশি ধানের কোয়ালিটি রক্ষা করতে হয়। আবার ধান বিক্রির বিল নিতে গেলে একাউন্ট খুলতে হয়। এসব ঝামেলার কারণে কৃষক সরকারি গুদামে ধান চাল বিক্রি করতে অনিহা দেখাচ্ছেন। এছাড়াও বাজারের মূল্যের চেয়ে সরকারি মূল্য কম হওয়ায় কেউ ধান দিতে চাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে হরিখালী খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি আবু সাইদ খন্দকার বলেন, এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খাদ্যগুদামে এক ছটাক ধান কেনা সম্ভব হয়নি। একই কথা বলেন, সোনাতলা খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি জালাল উদ্দিন সরকার।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান বলেন, চলতি বছর এ উপজেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে কোন ধান কেনা সম্ভব হয়নি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ধান ক্রয়ে কৃষকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালের লক্ষ্য পূরণ হবে। ইতিমধ্যেই টার্গেটের ৭০-৭৫ শতাংশ চাল কেনা সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে মহান বিজয় দিবস পালন

তফসিলের পরদিন প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় : আখতার হোসেন

নওগাঁয় ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে

বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করা কোনো ছেলেখেলা নয়: আখতার হোসেন

কক্সবাজারে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘অ্যানুয়াল স্পোর্টস কম্পিটিশন অ্যান্ড বিচ কার্নিভ্যাল ২০২৫’

বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: শামীম হায়দার