বগুড়ার শেরপুরে কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের চাষিদের মাঝে বোরো ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২০ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বিআর-২৮ জাতের ৩০ হেক্টর, বিআর-২৯ জাতের ৩০ হেক্টর, ৮১ জাতের ২০ হেক্টর, ৮৮ জাতের ৫০ হেক্টর, ৮৯ জাতের ১১০ হেক্টর, ৯২ জাতের ৫০ হেক্টর, ১০০ জাতের ১৫০ হেক্টর, ১০২ জাতের ৫ হেক্টর, ১০৪ জাতের ৫ হেক্টর, কাটারিভোগ ৯০ হেক্টর, মিনিকেট ২৫০ হেক্টর, কাজললতা ৩০ হেক্টর, সুবললতা ৩৬০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধান রোপণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা ধানের জমিতে হালচাষসহ রোপণ কার্যক্রম পুরোদমেই চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন, আবার কেউ জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করছেন।
বিশালপুরের জামাইল হাট এলাকার কৃষক মজনু মিয়া বলেন, আমরা বোরো আবাদের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছি, খুব দ্রুতই মাঠে নেমে পড়বো। আমাদের এলাকার চাষিরা শুরুতেই ধান রোপণ করে থাকেন। বোরো চাষাবাদের উপযুক্ত সময় এখন। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীতের মধ্যেও ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত কাদাপানির মধ্যে ক্ষেতে কাজ করতে হয়।
আরও পড়ুনসাগরপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক পরেশ চন্দ্র বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছি, অল্পদিনের মধ্যেই পানি দেওয়া, হালচাষসহ রোপণের জন্য উপযুক্ত করা হবে। পৌষ মাসের শেষ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত বোরো চাষাবাদে কৃষকরা ব্যস্ত থাকেন। এসময় আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করা ছাড়াও বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ করতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, এখনও পুরোপুরি ধান রোপণ শুরু হয়নি। যারা আগাম চাষে অভ্যস্ত তারাই রোপণ শুরু করেছেন। ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছর দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে কৃষকরা যে স্বপ্ন আর আশা নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন সেটি পূরণ হবে।
মন্তব্য করুন