ভিডিও শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, বেশকিছু নৌরুট বন্ধ

বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, বেশকিছু নৌরুট বন্ধ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন ধরেই বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে এ উপজেলার বেশ কয়েকটি নৌরুট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ভোগান্তির শিকার হয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন করছেন কৃষকরা।

অপরদিকে যমুনার বুকে নতুন চর জেগে ওঠায় সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলাদি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। সারিয়াকান্দিকে নদীবন্দর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম নৌপথ সৃষ্টি করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গত কয়েক বছর ধরেই এ উপজেলায় বছরের প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যমুনা নদীর নাব্যতা সংকট বিরাজমান। এছাড়া গত কয়েক বছরে যমুনা নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। যমুনার মূল শ্রোতধারা এখন চালুয়াবাড়ী ও কাজলা ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কর্ণিবাড়ী ও বোহাইল ইউনিয়নে পশ্চিম সীমানা দিয়ে যমুনা প্রবাহিত হচ্ছে।

এই চারটি ইউনিয়নের পশ্চিমে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর এবং বগুড়া জেলা সদর অবস্থিত। তাই দু’টি ইউনিয়নের পশ্চিমে বিশালাকৃতির চরের সৃষ্টি হয়েছে এবং যমুনার নাব্যতা সংকট বিরাজমান। নাব্যতা সংকটের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতাফ আলীর খেয়াঘাট, হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাসনাপাড়া ও নিজবলাইল খেয়াঘাট এবং চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি নৌঘাট বন্ধ রয়েছে। নৌকার পরিবর্তে এসব নৌরুটে কৃষকরা ঘোড়ার গাড়িতে করে বেশি ভাড়া দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন করছেন।

কেউবা পায়ে হেঁটে ঘারে করে অনেক কষ্টে কৃষিপণ্য বা গো ও পশুখাদ্য পরিবহন করছেন। এছাড়া নাব্যতা সংকটে পুরো যমুনা নদীজুড়ে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ডুবোচরে চলন্ত নৌকা আটকে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা। এদিকে যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটে উপজেলার একমাত্র ব্যস্ততম সারিয়াকান্দি মাদারগঞ্জ নৌরুটও বন্ধ হওয়ার মতো হয়েছিল।

আরও পড়ুন

পরে এ নৌরুট খনন যন্ত্র দিয়ে খনন করা হয়েছে। তবে এ নৌরুট দিয়ে যখন নৌকা চলাচল করে তখন মনে হয় কোনও ড্রেনের মধ্যে দিয়ে নৌকাগুলো চলাচল করছে। এদিকে যমুনায় পানি না থাকায় উপজেলার যমুনা নদীতে বিশালাকার বেশকিছু চরের সৃষ্টি হয়েছে।

আলতাফ আলী নৌঘাটের মাঝি সাইফুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি না থাকায়  গত ১৫ দিন আগে থেকেই তার নৌঘাট বন্ধ হয়েছে। প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে তিনি ঘাটটি ইজারা নিয়েছিলেন। তার আসল টাকা এখনও ওঠেনি। তাই তিনি এখন লোকসানে আছেন। এ নৌরুট দিয়ে যাত্রীরা হেঁটে চলাচল করছেন এবং ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন করছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, সারিয়াকান্দিকে নদীবন্দর করার প্রস্তাবনা ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প প্রণয়ন সফল হলে সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে ড্রেজিং কাজ শুরু করা হবে। ফলে কৃত্রিমভাবে সারিয়াকান্দিতে কিছু নৌরুট চালু করা হবে। এতে কৃষকের সকল ধরনের ভোগান্তির অবসান হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক কারাগারে  

নড়াইলে হত্যা মামলার আসামিকে মাদারীপুরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কাজ শুরু

ব্রাজিল ফুটবলে আবারও প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করলেন আদালত

মোস্তাফিজকে দলে ভেড়ানোয় দিল্লি ম্যাচ বয়কটের ডাক

টেকনাফে অভিযানে জব্দকৃত সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস