বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে না কমিশন গঠন

ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গঠন হচ্ছে না। বিডিআর হত্যা নিয়ে দুইটি মামলা বিচারাধীন থাকায় আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
এর আগে বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বললেও আজ এমন তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে জানায়, তারা কমিশন গঠন করেছে পরে দুপুরে সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে রাষ্ট্রপক্ষ। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। মামলায় আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীরও দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন পিন্টু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনরক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
মন্তব্য করুন