জয়পুরহাটের বাগজানায় পানিফল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

বাগজানা থেকে দুলাল অধিকারী : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পানিফল চাষ। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি পানিফল চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। জলাবদ্ধ পতিত জমি, খালবিল ও ছোট আকারের পুকুরে, সুস্বাদু এসব পানিফল চাষ হয়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানায়, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পানিফল চাষ করতে হয়। আশ্বিন মাস থেকে ফল দেওয়া শুরু হলেও মাঘ মাস পর্যন্ত উৎপাদন হয়। পানিফল দেখতে মানুষের হৃৎপিন্ড বা ত্রিভুজের মত। এর ভিতরের শাঁসগুলো সাদা নরম হয়। পানিফল কাঁচা অথবা সিদ্ধ খাওয়া যায়।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুজন মন্ডল জানান, তার জমি নিচু হওয়ায় তেমন কোন ফসল চাষ করা যায় না। যে ফসল চাষ করলে পানিতে ডুবে যায় তেমন লাভ হয় না। কয়েক বছর যাবৎ তার ৩০ কাটা জমিতে পানিফল চাষ করছেন।
সুজন আরও বলেন, ৩০’কাঠা জমির পানিফল বিক্রি করে এবছর প্রায় ৪০’হাজার টাকার বেশি লাভ পেয়েছেন। বিঘা প্রতি ২০/২৫ মন ফলন হয় এবং ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করেন। একই এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে হাবিকুল ইসলাম জানান, ১৫’হাজার টাকায় ৩’বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানিফল চাষ করেছেন। এখন পানিফল চাষের পাশাপাশি মাছও চাষ করায় লাভ হচ্ছে এতে সংসার ভালো চলছে।
আরও পড়ুনবাগজানা ইউনিয়নের বাগজানা গ্রামের আদিবাসী রঞ্জিত বলেন, আমি ১ বিঘা পুকুরে পানিফল চাষ করেছিলাম। এতে খরচ বাদেও লাভ ভাল হয়েছে। ধান পাট গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন সবজি চাষে যত খরচ হয় পানিফল চাষে তেমন খরচ হয়না। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক নিচু জমিতে পানিফল চাষ করছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ৩ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসল চাষাবাদের তুলনায় পানিফল চাষে কীটনাশক সার ও শ্রমিক খরচ কম বলেও, জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন