বগুড়ার শেরপুরে চলতি বছর ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে চলতি বছর ৭১ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ২৭ জন রোগী গত অক্টোবর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু শহরাঞ্চল নয় গ্রাঞ্চলের মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর মধ্যে অক্টোবরে সর্বোচ্চ ২৭ জন ও নভেম্বর মাসে ১৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে তিনজন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ৬৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা গ্রামের হামিদ সরকারের ছেলে সবুজ (২৮), খানপুর ইউনিয়নের নায়েরখাগা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল (২৫) ও হামছায়াপুরের মাসুম বিল্লাহ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল জানান, তিনি ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। সেখানে জ্বর হলে চিকিৎসা নেয়ার পরও জ¦র ভালো না হওয়ায় পরে টেস্টে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। যেহেতেু এখানে গ্রামের বাড়ি, তাই হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী লিংকন জানান, স্থানীয় রোগীর সংখ্যা খুব কম। বেশিরভাগ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৭১ জন রোগীর মধ্যে মাত্র একজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুনসরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভার এক একটি ড্রেন যেন এডিস মশার আবাসস্থল। দীর্ঘদিন পরিস্কার না করায় ড্রেনের মধ্যে পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমাট বেঁধে থাকায় সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা। শুধু শহর নয়, গ্রাম-গঞ্জের একই অবস্থা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের অবস্থা খুবই খারাপ।
এছাড়াও মানুষ সচেতন না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে নালা-নর্দমা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসায় পানি জমে থাকে, এসব জমে থাকা পানিতে এডিস মশার অবাধ বংশ বিস্তার ঘটে চারিদিকে এই রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।
ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়া আমেনা খাতুন বলেন, গ্রামে থাকি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হব এটা ভাবতেই পারিনি। গ্রামাঞ্চলে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়ায় আমরা শিশুদের নিয়ে চিন্তায় আছি। পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান জানান, আমরা পৌর এলাকায় মশা মারার জন্য ওষুধ স্প্রেরের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
মন্তব্য করুন