ভিডিও সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

আদি নামে ফিরল সরকারি মজিবর রহমান ভাণ্ডারী মহিলা কলেজ বগুড়া

আদি নামে ফিরল সরকারি মজিবর রহমান ভাণ্ডারী মহিলা কলেজ বগুড়া

স্টাফ রিপোর্টার : আদি নামে ফিরল বগুড়ার অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মজিবর রহমান ভাণ্ডারী মহিলা কলেজ, বগুড়া’। এতদিন সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ নামে পরিচিত ছিল এই কলেজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কলেজটির নাম সংশোধন করে ‘সরকারি মজিবর রহমান ভাণ্ডারী মহিলা কলেজ, বগুড়া হিসেবে পুনর্নামকরণ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব আলম সইকৃত প্রজ্ঞাপনে দেশের বিভিন্ন জেলার ৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সংশোধনের তালিকায় এই কলেজর নামও অন্তর্ভুক্ত হয়। কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বেল্লাল হোসেন বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নামের বানানে ভুল ছিল।

‘মুজিবুর’ শব্দটি আসলে প্রতিষ্ঠাতার নামের সঠিক রূপ নয়। তদুপরি ‘ভাণ্ডারী’ পদবিটি না থাকায় কলেজটিকে অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান বলে ধরে নেন। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অনেকেই মনে করতেন এটি শেখ মুজিবুরের নামে করা। বিশেষ করে বগুড়ার বাইরের মানুষ তাই জানতো।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশের ৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এরমধ্যে ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং বগুড়ার এই কলেজের নাম আদি নামে ফিরল। তিনি বলেন, কলেজের নাম সংশোধন করে বগুড়া মহিলা কলেজ নামকরণ করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে অবগত করেন ‘এই মুজিব সেই শেখ মুজিব নয়’ এর স্বপক্ষে তিনি কলেজের দলিলসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন

শেষ পর্যন্ত নাম পরিবর্তন নয় সংশোধন করা হলো। তিনি আরও বলেন, কলেজের জমিদাতার নাম মুছে যেত, তবে তিনি তা হতে দেননি। তিনি শুধু জমিই দান করেননি সেই সময় কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ২ লাখ টাকাও দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে বগুড়ার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ‘ভাণ্ডারী শিল্পগ্রুপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা মজিবর রহমান ভাণ্ডারী এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা সুবিল নদীর তীরে তাদের দানকৃত তিন একর ৭৫ শতক জমিতে ‘মজিবর রহমান মহিলা কলেজ, বগুড়া’ প্রতিষ্ঠা করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে গৌরবময় ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিদর্শনের পর জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের সময় সরকারি নথিপত্রে ভুলবশত ‘মজিবর’ শব্দটি ‘মুজিবুর’ বা ‘মুজিবর’ হিসেবে লেখা হয় এবং ‘ভাণ্ডারী’ পদবিটি বাদ পড়ে।

কলেজের জমির দলিলসহ অন্যান্য মূল নথিতে ‘মজিবর রহমান ভাণ্ডারী’ নামটি সংরক্ষিত থাকলেও, সরকারি কাগজে দীর্ঘদিন ধরে ভিন্ন বানান ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। গত ২৮ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কলেজটি তার আদি ও সঠিক নাম ফিরে পায় ‘সরকারি মজিবর রহমান ভাণ্ডারী মহিলা কলেজ, বগুড়া’। এর মাধ্যমে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠাতার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় হামজা চৌধুরী

শাকিবের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে মিষ্টি জান্নাত লিখলেন ‘লাভ লাভ’

পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর স্বীকারোক্তিতে চাপে মোদি সরকার

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল

বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক 

‘নেইমার’ হাত দিয়ে গোল করে পেলেন ‘লালকার্ড’