পঞ্চগড়ে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া আল আমিন নামের এক রিকশাচালককে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আশরাফুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার রাতে সাবেক এই মন্ত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজনভ্যানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাহারায় পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হয় আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অপর আসামিদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আদম সুফি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন আল আমিন। তাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হলে আমরা আসামির বিরোধিতা করেছি। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। অতি শিগগির তার রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় উনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতে তাকে তোলার পর তার জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে।
তবে আদালত তাকে ডিভিশন মঞ্জুর করেছে। যেহেতু ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছে না তাই এটা কোনোভাবে ৩০২ ধারায় পড়তে পারে না। আমরা বিষয়টি আদালতকে অবগত করেছি।
মন্তব্য করুন